॥চঞ্চল সরদার॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাগমারা-জৌকুড়া ৫কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ ধীরগতিতে চলায় ব্যাপক ধূলার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সড়কের পাশের ঘর-বাড়ী, দোকানপাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গাছপালাসহ সবকিছু ধূলায় ছেয়ে গেছে। চলাচলকারীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই সড়ক দিয়ে বালুবাহী ট্রাকসহ বহু যানবাহন চলাচল করায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। অনেক জায়গায় সড়কের উন্নয়ন কাজ চলার সময় ধূলার জন্য পানি দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও এই সড়কে পানি দেওয়া হয় না।
শরিফুুল ইসলাম নামের একজন অটোরিক্সা চালক বলেন, ধূলার কারণে সবারই প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। যাত্রীরা এই রাস্তা দিয়ে যেতেই চায় না। অন্য রাস্তা দিয়ে শহরে বা অন্য কোন স্থানে যায়। অটো চালাতে সমস্যা হয়, উল্টে যায়-দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ীর ক্ষতিসহ রোগ-ব্যাধী হচ্ছে। আমরা চাই সড়কের উন্নয়ন কাজ যেন তাড়াতাড়ি যেন শেষ করা হয়।
সূর্যনগর রেলগেট এলাকার দোকানদার বাবু মন্ডল বলেন, ধূলার কারণে আমাদের জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘর-বাড়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সর্বত্র শুধু ধূলা আর ধূলা। সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই ভোগান্তি কমবে না। তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করার পাশাপাশি যত দিন কাজ চলবে ততদিন পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করা দরকার।
দয়ালনগর গ্রামের নতুন রাস্তা এলাকার আনোয়ার খান বলেন, ধুলার কারণে আমাদের বাড়ী-ঘর অন্ধকার হয়ে গেছে। চিন্তাও করতে পারবেন না কতো কষ্টে আমরা বসবাস করি। রাস্তার উন্নয়ন কাজ ১বছরের কাছাকাছি হয়ে গেল, তবুও শেষ হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টদের বলবো তারা যেন প্রতিদিন পানি দেওয়ার ব্যবস্থার করে এবং তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে আমাদেরকে বাঁচায়।
সড়কের উন্নয়ন কাজ করা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধি ইঞ্জিঃ আমজাদ হোসেন বলেন, রাস্তার কাজ পুরোদমে চলছে। আগামী বর্ষার আগেই কাজ শেষ করতে পারবো। তিনি দাবী করেন, সিডিউলে না থাকলেও পরিবেশ ভালো রাখার জন্য সড়কে পানি দেয়া হচ্ছে।
ধূলার ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট(মেডিসিন) ডাঃ নিয়াজ আহমদ বলেন, ধূলার কারণে শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি, অ্যাজমাসহ নানা ধরনের রোগ হতে পারে।