॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌপথে সেতু নির্মাণ এবং রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দের ৪টি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে জাতীয় সংসদের গত অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন।
গত ১২ ও ১৩ই ফেব্রুয়ারী ৭১ বিধিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং শিক্ষা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে দেয়া বক্তব্যে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের মধ্যে যোগাযোগের জন্য রাজবাড়ী জেলার ধাওয়াপাড়া ও পাবনা জেলার নাজিরগঞ্জ অংশে নৌপথ ব্যবহার করতে হয়। উত্তরবঙ্গের পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, রাজশাহী, নওগাঁ, রংপুর, দিনাজপুরসহ অন্যান্য জেলার সাথে দক্ষিণবঙ্গের রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, বরিশাল, শরীয়তপুর, পটুয়াখালী জেলার যোগাযোগ স্থাপনের জন্য উল্লেখিত নৌপথ ব্যবহার করতে হয়। বিকল্প পথ হিসাবে পাংশা, কুমারখালী, কুষ্টিয়া, ভেড়ামারা রাস্তা ব্যবহার করা গেলেও যাতায়াতের দুরত্ব অনেক বেশী হওয়ায় সময় ও অর্থ বেশী ব্যয় হয়। পণ্য পরিবহনে ব্যাপক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। তাই ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ অংশে সেতু নির্মিত হলে সমগ্র উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন সেতুবন্ধন তৈরী হবে, যার মাধ্যমে অত্র এলাকার মানুষের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে।
তিনি আরো বলেন, রাজবাড়ী জেলায় ৪টি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে(জাতীয়করণকৃত ব্যতীত)। এর মধ্যে রাজবাড়ী সদর উপজেলার রাজবাড়ী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা ১২৫০ জন, শিক্ষকের পদ ৫০টি, কর্মরত আছেন ৩৮ জন, শূন্য পদ ১২টি, রাজবাড়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সংখ্যা ১২৫০ জন, শিক্ষকের পদ ৫০টি, কর্মরত আছেন ২৬ জন, শূন্য পদ ২৪টি, গোয়ালন্দ উপজেলার গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা ৫৭১ জন, শিক্ষকের পদ ১৩টি, কর্মরত আছেন ৭জন, শূন্য পদ ৬টি এবং গোয়ালন্দ শহীদ স্মৃতি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সংখ্যা ৫৯০ জন, শিক্ষক পদ ১৩টি, কর্মরত আছেন ৭জন, শূন্য পদ ৬টি।
এ সকল সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অল্প সংখ্যক শিক্ষক দ্বারা ক্লাস পরিচালনা করা সম্ভব নয়। মানসম্পন্ন পাঠদানের লক্ষ্যে তিনি জরুরী ভিত্তিতে শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণ করার দাবী জানান।