সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ী রেলগেট এলাকায় আবারো বেদখলের আশংকা

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০১৯

॥চঞ্চল সরদার॥ রাজবাড়ী রেলগেট এলাকায় আবারও বেদখলের আশংকা দেখা দিয়েছে। ১নং রেলগেট থেকে ২নং রেলগেট পর্যন্ত রেলাইনের উপর দিয়েই ভ্রাম্যমান ভাবে বসতো ফলমূল, মাছ, ডিম, কলা, পুরাতন কাপড়সহ নানা পণ্যের বিক্রেতারা।
এছাড়াও রেল লাইনের সাথে অনেকগুলো ছোট দোকানপাটও গড়ে উঠেছিল। এতে যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশংকাসহ যানজট লেগে থাকতো অধিকাংশ সময়। কিছুদিন আগে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে সেসব উচ্ছেদ করে। ফলে রেলগেট এলাকা এখন দখলমুক্ত। তবে সাধারণ মানুষের আশংকা, কিছু দিন গেলেও রেলগেট এলাকা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে। যারা সেখানে ব্যবসা করতো তারা আবার ফিরে আসবে। বেদখল হয়ে আবারও আগের মতো জনগণকে ভোগান্তি পোহাতে হবে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভ্রাম্যমান হকাররা ইতিমধ্যে তাদের দোকানপাট নিয়ে আসতে শুরু করেছে, যার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। যারা আপাতত আসছে না, তারাও আসার প্রস্ততি নিচ্ছে।
আমিনুল ইসলাম রনজু নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমরা চাই এখানে যেন আর কেউ বসতে না পারে। উচ্ছেদ করার পর রেলগেটের চেহারাটাই পাল্টে গেছে। এলাকাটা অনেক সুন্দর দেখা যাচ্ছে। যারা এখানে ফলমূল, মাছ, ডিম, কলা, কাপড়-চোপড়সহ অন্যান্য জিনিস বিক্রি করতো তাদেরকে ব্যবসার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে জায়গা দিয়ে পুনর্বাসন করা যেতে পারে।
রেলগেটের একসময়ের চায়ের দোকানী ইউনুছ মোল্লা বলেন, আমি এখন ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাচ্ছি। এখানে আমার ১৫-১৬ বছর যাবৎ চায়ের দোকান ছিল। সেটা রেল কর্তৃপক্ষ ভেঙ্গে দিয়েছে। যদি রেল কর্তৃপক্ষ ভালোর জন্য করে থাকে তাহলে ভালো হযেছে। রেল লাইনের পাশে ব্যবসা করার সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আমি মনে করি ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা না করাই ভালো হবে। সরকারের কাছে আমার দাবী থাকবে আমরা যারা এখানে ব্যবসা করতাম তাদেরকে যেন নির্দিষ্ট একটা জায়গা দেয়া হয় ব্যবসার জন্য। তাহলে কেউ আর এখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবে না।
রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, ওইসব দোকানপাট থাকার কারণে নিরাপদে ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতো। তারা(উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ীরা) যদি আবার সেখানে বসার চেষ্টা করে তাহলে আমাদের যা করণীয় আমরা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কোনভাবেই তাদেরকে আর বসতে দেয়া হবে না। আরো যেখানে এমন অবস্থা রয়েছে সেগুলোও অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!