রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

জাপানের টোকিওতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০১৯

বিনম্র শ্রদ্ধা আর অফুরন্ত ভালোবাসা নিয়ে প্রাণবন্ত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০১৯ উদযাপন করেছে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
গতকাল ১৭ই মার্চ আয়োজিত বর্ণিল অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে আগত সকল শিশুকিশোর ও ছোট সোনামনিরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পু®পস্তবক অর্পণ করেন। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বানী পাঠ করা হয়।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে সবাইকে স্বাগত জানান। তিনি বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা ও মুক্তির দূত।
রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালবাসতেন, শিশুরাও বঙ্গবন্ধুকে আপন করে নিতো। আর তাই এই মহান নেতার জন্মদিন কে জাতীয় শিশু দিবস হিসাবে পালন করা হয়।” রাষ্ট্রদূত শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জীবন গড়ার ও বঙ্গবন্ধুর মত মানবীয় গুনাবলী সম্পন্ন হয়ে দেশের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
পরে বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের উপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। জাপান প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দ এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তাঁরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃপ্ত প্রত্যয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তশালী করার আহবান জানান।
পরে জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশী শিশু কিশোরদের কাছে বিতরণকৃত জাপানী ভাষায় অনুদিত গ্রাফিক নভেল “মুজিব” বইয়ের উপর কুইজ এবং “বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ” বিষয়ের উপর যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
আনন্দঘন পরিবেশে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বর্ণিল সাজে শিশুগণ অনুষ্ঠানকে আকর্ষণীয় করে তোলে। এরপরই শুরু হয় শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
টোকিও ও আশেপাশের অঞ্চল থেকে আগত প্রবাসী ও তাঁদের সন্তানদের উৎসাহ ও উদ্দীপনায় মুখোর ও প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠেছিলো দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন। জাপানে বসবাসরত শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজনটি- ‘প্রাণের মেলা’ হয়ে উঠেছিল। সেখানে গভীর শ্রদ্ধা ও পরম মমতায় তাঁরা স্মরণ করেছে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, শিক্ষা নিয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ সম্পর্কে।
পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও র‌্যফেল ড্র আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আগত সকল শিশুকেই উপহার প্রদান করা হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক প্রবাসী ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা- কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!