॥স্টাফ রিপোর্টার॥ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত ১০ বছরে ৭ শতাংশের উপরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমর্থ হয়েছে এবং এ বছর ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আমরা আগামী বছর ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি। আমাদের রয়েছে প্রতিযোগিতামূলক বেতন-ভাতায় সহজে প্রশিক্ষণযোগ্য নিবেদিত প্রাণ জনশক্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে স্বল্প ব্যয় এবং আমাদের বৃহৎ শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত বাজারে প্রবেশ সুবিধা। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সব চেয়ে ভালো বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং আকর্ষণীয় প্রণোদনার সুযোগ গ্রহণের মাধ্যমে অধিক হারে মুনাফার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, সৌরশক্তি, জ্বালানি, টেলিকমিউনিকেশন এবং তথ্যপ্রযুক্তি, পেট্রোকেমিক্যাল, ওষুধশিল্প, জাহাজ নির্মাণ এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণের মতো বিভিন্ন উদীয়মান খাতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
গতকাল ৪ঠা মার্চ শেরে বাংলানগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ এইচ এম আল মুতাইরি। এ সময় বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ এইচ এম আল মুতাইরি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভূতপূর্ব গতি সঞ্চারিত হওয়ায় সৌদি রাষ্ট্রদূত সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর সৌদিতে প্রচুর পরিমাণে মানুষ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে গমন করে। আগামী দিনগুলোতে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো সম্প্রসারণে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ ও সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ লক্ষ্যে তিনি আগামী ৭ই মার্চ সৌদি আরবের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে।
মন্ত্রী বাংলাদেশের কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই দেশের ভৌগোলিক অবস্থান দেশটিকে আঞ্চলিক যোগাযোগ, বিদেশী বিনিয়োগ এবং গ্লোবাল আউট সোর্সিংয়ের একটি কেন্দ্রে পরিণত করেছে। দেশে ১০০ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সরকারী ও বেসরকারী খাতে বিনিয়োগকে টেকসই করার জন্যই সরকার এই শিল্পাঞ্চলগুলো গড়ে তুলেছে। আমরা সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দুই হাজার একর জমি বরাদ্দ করেছি, যেগুলো বিনিয়োগকারীরা নিজস্ব চাহিদা মোতাবেক তারা ব্যবহার করতে পারবেন। দু’টি দেশের মধ্যে বিদ্যমান ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিমাণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে। এ বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধি করে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগগুলোর পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করতে হবে।