শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

টোকিও এলএনজি সম্মেলন সমাপ্ত॥বাংলাদেশে গ্যাস স্টোরেজ-টার্মিনাল স্থাপনের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

॥টোকিও থেকে খোন্দকার আব্দুল মতিন॥ বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ব্যবহারে সাগরে ভাসমান টার্মিনালের চেয়ে ভূমিতে গ্যাস স্টোরেজ টার্মিনাল স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশ্বের জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, সাগরের চেয়ে ভূমির এলএনজি টার্মিনালে গ্যাসের রূপান্তর ও সঞ্চালনসহ অন্যান্য কাজ তুলনামূলক সহজ ও ঝুঁকি কম। সাগরে বৈরী আবহাওয়ায় এটা অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এলএনজি ও প্রাকৃতিক গ্যাস নিয়ে জাপানের টোকিও শহরে দু’দিনব্যাপী ২য় সিডাব্লিউসি জাপান এলএনজি এ্যান্ড গ্যাস সামিট ২০১৯ সম্মেলন শেষে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে গত ২০শে ফেব্রুয়ারী এ পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশে আমদানি করা এলএনজির ব্যবহার শুরু হয়েছে গত বছর থেকে। কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে সাগরে ভাসমান টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে এলএনজিকে প্রাকৃতিক গ্যাসে রূপান্তর করা হচ্ছে। এরপর পাইপলাইনের মাধ্যমে তা শিল্পকারখানা ও বাসাবাড়িতে সরবরাহ করা হচ্ছে।
দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে যে প্রাকৃতিক গ্যাস তুলে ব্যবহার করা হয়, সেই গ্যাসকে কৃত্রিমভাবে তরল করা হয়। এটাকেই বলে এলএনজি। অর্থাৎ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা লিকুইয়াফাইড ন্যাচারাল গ্যাস। পরিবহনের স্বার্থে এই গ্যাসকে তরল করা হয়। ওই গ্যাসে তখন আর কোনো চাপ থাকে না। ফলে দুর্ঘটনায় বিস্ম্ফোরণের ঝুঁকি কমে যায়। কারণ গ্যাস দাহ্য পদার্থ। এই এলএনজি আমদানি করে সাগরে একটি জাহাজে ভাসমান টার্মিনালে রাখা হচ্ছে। সেখানে এই এলএনজি আবার রি-গ্যাসিফিকেশন বা ন্যাচারাল গ্যাসে রূপান্তর করা হচ্ছে। ওই গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে ব্যবহারের জন্য শিল্পকারখানায় দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশে চলতি বছরই একটি ল্যান্ডবেজ বা ভূমিতে এলএনজি টার্মিনাল বসানোর কাজ শেষ হতে পারে বলে জানা গেছে। বর্তমানে প্রতিদিন ৫০ কোটি ঘনফুট আমদানি করা গ্যাস ব্যবহূত হচ্ছে দেশে। নতুন টার্মিনাল চালু হলে দিনে ১০০ কোটি ঘনফুট আমদানি করা গ্যাস ব্যবহার শুরু হবে। তখন গ্যাসের চাহিদা কিছুটা হলেও কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বের জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেন,
বর্তমানে পরিবেশবান্ধব বিবেচনায় এই এলএনজির আমদানি-রফতানি ব্যাপকভাবে বাড়ছে। যেসব দেশে গ্যাস নেই বা ফুরিয়ে গেছে, সেসব দেশ আমদানি করছে। ফলে ঝুঁকিমুক্তভাবে এই গ্যাসের ব্যবহার নিশ্চিত করতে এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে।
বর্তমানে জাপানের পর চীনই সবচেয়ে বেশি এলএনজি আমদানি করে থাকে বলে সম্মেলনে জানানো হয়। গত দশ বছর ধরে বিশ্বে জ্বালানি নিরাপত্তায় এলএনজি ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। এই জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর বিশেষজ্ঞরা গুরুত্ব আরোপ করেন।
এলএনজি সামিটের উদ্বোধন করেন জাপানের শাশাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নবুওয়া থানকা। তিনি সারাবিশ্বে বর্তমানে এলএনজির ব্যবহারের সংক্ষিপ্ত সার তুলে ধরেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের তেল ও গ্যাস বিভাগের পরিচালক মাসাতো শাশাকি। দুই দিনে বেশ কয়েকটি সেশনে এলএনজির বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশ্নেষণ করা হয়। গতকাল বুধবার এই সামিট শেষ হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!