॥রঘুনন্দন সিকদার॥ রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লল হাকিম বলেছেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবে। এদেশের হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মাবলম্বীরা সম্প্রীতির সাথে বসবাস করবে। সবাই নির্বিঘেœ যার যার ধর্ম পালন করে যাবে।
গতকাল ৮ই ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি একাদশ গ্রাম সম্মিলিত মহাশ্মশান প্রাঙ্গনে প্রেম-ভক্তি, আত্মশুদ্ধি, দেশ-জাতি ও বিশ^ জননীর সকল সন্তানের মঙ্গল কামনায় ৪র্থ বার্ষিক শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণের অষ্টকালীন লীলা কীর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি মোঃ জিল্লুল হাকিম আরও বলেন, সরকার সকল ধর্মকে সমান গুরুত্ব দিয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন করে যাচ্ছে। এর ফলশ্রুতিতে আপনাদের এখানেও উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধিত হয়েছে। আগামীতে আরো উন্নয়ন করা হবে। সরকারের প্রধানের নির্দেশ রয়েছে, বাংলাদেশের সকল ধর্মের অনুসারীরা তাদের নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে এবং সরকার তাদেরকে সহায়তা করবে।
মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি সুজিত কুমার সাহার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদের সদস্য আঃ সাত্তার খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম মিয়া সূফী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন বাবু, এহসানুল হাকিম সাধন, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর রশিদ হারুন, সনজিৎ রায়, বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নায়েব আলী শেখ, বহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, বালিয়াকান্দি কেন্দ্রীয় মন্দির ও মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি রঘুনন্দন সিকদার, সাধারণ সম্পাদক পিযুষ কুমার কর ও বহরপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ লীলা কীর্তন অনুষ্ঠানে আগত ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লীলা কীর্তন পরিবেশন করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শ্রীমতি চন্দনা রায়, শ্রী গৌর সুন্দর চক্রবর্তী ও ছোট রাধা রাণী। আজ ৯ই ফেব্রুয়ারী মহাপ্রভুর ভোগরাগ ও প্রসাদ বিতরণের মধ্যে দিয়ে ৩দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা সমাপ্ত হবে।