॥বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি॥ মাঝে কয়েক বছর চাষ কম হলেও রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা আবার কালি জিরা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বালিয়াকান্দি উপজেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে কালি জিরার চাষ হয়েছে।
কালি জিরা আমাদের দেশের একটি পরিচিত ফসল। এর ব্যবহারও অনেক বেশী। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে বালিয়াকান্দি উপজেলায় এর চাষ কম হতো। দেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই কম-বেশী কালি জিরার চাষ হয়ে থাকে। কালি জিরার নানাবিধ ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। প্রধানত মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হলেও কালি জিরা থেকে তেল হয়, যা রান্নার কাজে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও কালি জিরার ভেষজ গুণ আছে।
জঙ্গল ইউনিয়নের কৃষক হরিশ চন্দ্র বলেন, বর্তমানে এখানকার অনেক কৃষক আগ্রহী হয়ে তাদের জমিতে কালি জিরার চাষ করছে। আমি এ বছর ২০ শতাংশ জমিতে কালি জিরার চাষ করেছি। কালি জিরা চাষের জন্য উপযুক্ত জমিতে ভালোভাবে চাষ দিয়ে তারপর সেই জমিতে কালি জিরার বেছন(বীজ) বুনতে হয়। কালি জিরার গাছ গজালে পরিচর্যা করতে হয়। জমি শুষ্ক হলে হালকা সেচের ব্যবস্থা করতে হয়। কালি জিরার গাছগুলো ধীরে ধীরে বড় হয়ে ফুল আসা শুরু করে। এরপর পরাগায়নের মাধ্যমে ফুল থেকে কালি জিরার ফল ধরা শুরু হয়। ফল পাকলে চাষীরা গাছগুলো ক্ষেত থেকে উঠিয়ে বাড়ীর আঙ্গিনায় রেখে দেয়। তারপর মাড়াই বা মলনের মাধ্যমে গাছগুলো থেকে ফল আলাদা করা হয়।
নবাবপুুর ইউনিয়নের কৃষক বাবুুল আক্তার বলেন, আমি আমার ৪০ শতাংশ জমির রসুন ক্ষেতের মধ্যে বন্ধু ফসল হিসেবে কালি জিরা বুনেছিলাম। রসুনের পাশাপাশি কালি জিরার গাছগুলো বেশ বেড়ে ফুল ধরতে শুরু করেছে। আশা করছি এবার আমি কালি জিরায় লাভবান হতে পারবো।
কৃষক মোমিন মোল্লা জানান, বাড়ীর পালানের ৫ শতাংশ জমিতে কালি জিরার চাষ করেছি। গাছগুলো বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি ফলনও ভালো হবে। এই জমিতে যে পরিমাণ কালি জিরা পাবো তাতে আমার পরিবারের চাহিদা মিটবে। কালি জিরা বিভিন্ন তরকারীতে মসলা হিসেবে দিলে তরকারী সুস্বাদু হয়। বিশেষ করে ডালে কালি জিরার ব্যবহার বেশী হয়। এছাড়া কালি জিরা পেঁয়াজ-রসুনের বেটে ভর্তা করে খাওয়া যায়। কালো জিরা ও মধু মিশিয়ে খেলে ঠান্ডাজনিত রোগের জন্য বেশ উপকারী। কেউ কেউ কালি জিরার তেলের সাথে রসুন মিশিয়ে গরম করে ব্যাথানাশক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ সাখায়াত হোসেন জানান, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের অনেক কৃষকই কালি জিরার চাষ করেছে। এ বছর উপজেলার ৭৫ হেক্টর জমিতে কালি জিরার চাষ