শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের মূল্য দিয়ে সকলের উন্নয়নে সরকার কাজ করবে—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • আপডেট সময় রবিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৯

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেছেন, ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণের প্রদত্ত আস্থা ও বিশ্বাসের মূল্য দিয়ে তাঁর সরকার দলমত নির্বিশেষে সকলের উন্নয়নেই কাজ করে যাবে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে জয়-পরাজয়কে একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। আমি এই টুকুই তাঁদের বলতে চাই- আওয়ামী লীগ নৌকা মার্কায় ভোট পেয়ে জয় পেয়েছে এটা সত্য। কিন্তু যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হাতে এসেছে, যখন দায়িত্ব পেয়েছি তখন দলমত নির্বিশেষে সকলের জন্য কাজ করে যাব।’
তিনি বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি দলমত নির্বিশেষে সকলের জন্যই আমাদের সরকার কাজ করে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল ১৯শে জানুয়ারী বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল বিজয় সমাবেশে সভাপতির ভাষণে একথা বলেন।
তাঁর সরকার প্রত্যেকের অধিকার নিশ্চিত করবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলে, ‘প্রতেক্যের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে। প্রত্যেকটি মানুষের জীবন মান নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সেখানে কোন দল বা মত দেখা হবে না। প্রতিটি জনগণ, প্রতিটি নাগরিক আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের সেবা করার দায়িত্ব জনগণ আমাদের দিয়েছে। কাজেই যারা ভোট দিয়েছেন বা ভোট দেন নাই সকলের প্রতিই ধন্যবাদ জানিয়ে আমি এটুকু বলবো- আমরা সকলের তরে, সকলের জন্য আমরা কাজ করবো।’
সমাবেশে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি এবং তোফায়েল আহমেদ এমপি, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, মোহাম্মদ নাসিম এমপি বক্তৃতা করেন।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ্যে সমাবেশে অভিনন্দন পত্র পাঠ করেন।
এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় নেতা, মীর্জা আজম এমপি, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আকম মোজাম্মেল হক, মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর এবং দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান এমপি এবং শাহে আলম মুরাদ বক্তৃতা করেন।
দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সমাবেশটি পরিচালনা করেন।
আওয়ামী লীগের ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারের পক্ষে জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে রায় দিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই ভোটের সম্মান যেন থাকে আমরা সবসময়ই সেই বিষয়টা মাথায় রেখে সার্বিকভাবে দেশের সুষম উন্নয়ন করে যাব, দেশের জনগণের স্বার্থে।’
তিনি নৌকার বিপুল বিজয়কে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণরায় বলে উল্লেখ করে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং মাদকের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরোল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘যে রায় জনগণ দিয়েছে এ রায় হচ্ছে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রায়।’
তিনি জনগণের এই প্রতিফলনের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা, দেশের মানুষের যে আকাঙ্খা, সে আকাঙ্খা আমাদের পূরণ করা কর্তব্য।’
‘বিজয় অর্জনের চাইতে বিজয় ধরে রেখে জনসেবা করা আরো কঠিন কাজ’ আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, এই কঠিন কাজ আমরা পেয়েছি। সর্বশক্তি দিয়ে সেই কঠিন দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে। সেটাই আমি সকলকে মনে করিয়ে দিতে চাই।’
‘দেশের জনগণ শান্তি এবং উন্নয়নের জন্য নৌকাকে ভোট দিয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ শান্তি এবং উন্নতি চায়। সেইসাথে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিযে যাক সেটাই তাঁরা চায়।
বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত করে গড়ে তোলা তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের ৩০শে ডিসেম্বরের রায় বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত করে গড়ে তোলার পক্ষের রায়। অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রার রায় দিয়েছে জনগণ তাঁদের ভোটের মধ্যদিয়ে।
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সমৃদ্ধি সমাজ প্রতিষ্ঠাই তাঁর লক্ষ্য উল্লেখ করে জনগণের এই রায়কে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার পক্ষের রায় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
৩০শে ডিসেম্বরের রায় হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতি রায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী এবং যুদ্ধারপরাধীদের কোন স্থান হবে না। দুর্নীতিবাজ, জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তদের কোন স্থান হবে না এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠবে।’
গত ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর এটাই প্রথম জনসভা ছিল আওয়ামী লীগের। কাজেই জনতার উপচেপড়া ভিড় কাকরাইল মোড় হয়ে মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের সামনে থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। পল্টন থেকে হাইকোর্ট কদম ফোয়ারা হয়ে দোয়েল চত্বর দিয়ে টিএসসির মোড় এবং সমগ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা নেতাকর্মীদের পদাচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে।
আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতকর্মীরা বেলা ১১টার পর থেকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে নেচে-গেয়ে, বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে উদ্যানমুখী খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে আসতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ‘জয়বাংলা শ্লোগানে’ পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলেন। অনেকে লাল-সবুজের পতাকা মাথায় দিয়েছেন, টি-শার্ট, ক্যাপও পরেছেন অনেকে।
দুপুর আড়াইটার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিজয় সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হলেও দুপুর ১২টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন মমতাজ, ফাহমিদা নবী, সালমা ও জলের গান ব্যান্ড দল। তবে সকাল থেকেই মাইকে দেশাত্মবোধক, পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া গান বাজানো হয়। মাঝে মধ্যে কবিতাও আবৃতি করা হয়।
মুহুর্মুহু করতালি আর গগন বিদারী শ্লোগানের মধ্যদিয়ে দুপুর ৩টার কিছু সময় পরে একটি হালকা অফ হোয়াইট রংয়ের জামদানী শাড়ি পরে মঞ্চে আসেন শেখ হাসিনা। এ সময় আবারো সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী মমতাজ।
প্রধানমন্ত্রী ৩০শে ডিসেম্বরের বিজয় সম্পর্কে বলেন, এই বিজয় শুধু আওয়ামী লীগের বিজয় নয়, এই বিজয় স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির। এ বিজয় এদেশের আপামোর জনগণের। কারণ ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণ স্বতস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়েছে।
তিনি জনগণকে ভোট প্রদানের জন্য এবং ভোটের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, গোয়েন্দা সংস্থা এবং নির্বাচন কমিশনের সকল সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের মা-বোনদের প্রতি যারা ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করেছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই তরুণ প্রজন্মের প্রতি যারা প্রথমবারের মত ভোটার হয়ে স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন।’
তিনি এদেশের কৃষক, শ্রমিক,তাঁতী, কামার-কুমার জেলেসহ সর্বস্তরের এবং ছাত্র, শিক্ষক, ডাক্তার, আইনজীবী, কৃষিবিদ সহ সকল শ্রেণী পেশার জনগণের প্রতি ভোট দিয়ে নৌকা মার্কা এবং আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি এ সময় আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীদের প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এ কথাটা নিশ্চয়ই তাঁরা উপলদ্ধি করতে পেরেছে যে, ঐক্যবদ্ধ শক্তিই সবসময় বিজয় অর্জন করে। কারণ এই নির্বাচনে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে সকল রাজনৈতিক দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক দলের সকলকেই আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ তাঁরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে অর্থবহ করেছে।’
এদেশকে আধুনিক সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা হিসেবে তাঁর সরকার গড়ে তুলবে, সেটাই তাঁদের অঙ্গীকার বলেও অভিহিত করেন তিনি।
নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে আওয়ামী লীগ সরকারের অতীতের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার করেছি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো এবং আজকের সমাবেশে সে কথাই আমি বলে যেতে চাই।’
এ সময় তিনি বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার ও প্রত্যয় ব্যক্ত করে ’৭৫ এর বিয়োগান্তক অধ্যায় বাষ্পরুদ্ধ কন্ঠে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে কোন চাওয়া-পাওয়া তাঁর নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বজন হারাবার বেদনা বুকে নিয়েও আমি আমার জীবনকে উৎসর্গ করেছি, এই দেশকে গড়ে তুলবো বলে।’
যেদেশে একজন ক্ষুধার্ত থাকবে না, কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না, সকলের জীবন-মান উন্নত হবে, সকলের আবাসস্থল নিশ্চিত হবে, তরুণ প্রজন্ম কাজ পাবে, বাংলদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।
চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়াকে গুরু দায়িত্ব আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাঁর দল আওয়ামী লীগকে বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে কাজেই জাতির পিতা যে স্বল্পোন্œত দেশ রেখে যান সেখান থেকে আজকে তাঁরা যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছেন, সেখান থেকেই দেশকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলাদেশ। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা আর এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি দেশ থেকে দুনীতি দূর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত দেশ গড়ে তুলে মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে এটাই আমি মনে করি যে, মানুষকে কতটুকুু দিতে পারলাম, তাঁদের জন্য কতটুকু করতে পারলাম- সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। কি পেলাম, কি পেলাম না সেটা কোন বড় কথা নয়।’
জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়েই তাঁর সরকার দেশ সেবা করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসুন সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তুলি। আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করি ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘যেন তাঁরা একটা সুন্দর এবং উন্নত জীবন পায়। বাংলাদেশ বিশ্বে যেমন এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে তেমনি বিশ্ব দরবারে প্রতিটি বাঙালি যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারে,’।
এর জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা এই আওয়ামী লীগ সরকার করবে, বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শিক্ষার আলো প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে দিয়ে প্রতিটি গ্রামকে শহরের সুবিধা দিয়ে গড়ে তোলা তাঁর সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্টায় তাঁর সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন।
তিনি এ সময় সারাদেশে একশ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে দেশে বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগ তুলে ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের পাশাপাশি ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ২০৪১ সাল নাগাদ ক্ষুধা এবং দারিদ্র মুক্ত দেশ উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় পুণর্ব্যক্ত করেন।
এ সময় কবি সুকান্তের ভাষায় প্রাণপনে জঞ্জাল সরিয়ে এ বিশ্বকে নবজাতকের বাসযোগ্য করে রেখে যাওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ও ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!