॥গোয়ালন্দ প্রতিনিধি॥ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়ার একটি বড় ঘাটে বড় ফেরীর আঘাতে পন্টুন বিধ্বস্ত হওয়ায় গত ১৩ই জানুয়ারী সন্ধ্যা থেকে ফেরীতে গাড়ি ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে সবাই।
গতকাল সোমবার থেকে মেরামত কাজ শুরু হলেও আগামী দুই দিনের আগে চালু সম্ভব নয় বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘাট বন্ধ থাকায় যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে।
দৌলতদিয়া ঘাট সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, গত রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে যানবাহন বোঝাই করে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে ফেরী বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন। ফেরীর প্রধান মাষ্টার না থাকায় তার পরিবর্তে দ্বিতীয় মাষ্টার বা সুকানী ফেরী চালাচ্ছিল। ফেরীটি দৌলতদিয়ার ৩নম্বর ঘাটে ভেড়ার চেষ্টা করে। মুহুর্তের মধ্যে ফেরী নিয়ন্ত্রণে না থাকায় দ্রুত গতিতে আসা ফেরীটি পন্টুনের ডাউন পকেটে স্বজোড়ে আঘাত করে। এতে পন্টুন ভেঙ্গে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। প্রচন্ড ঝাকুনিতে ফেরীতে ও পন্টুনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকজন ছিটকে পড়ে আহত হন। তবে বড় ধরনের কেউ জখমপ্রাপ্ত বা আহত হননি। এ সময় ফেরীটি ঘাটে ভিড়তে না পেরে আরেক পকেটে গিয়ে ভিড়ে যানবাহন আনলোড করে। পন্টুনটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় গত রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে ওই ঘাটে ফেরী ভেড়ানো বন্ধ রাখা হয়েছে।
পন্টুনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সারেং মো. শামসুদ্দিন জানান, গত রবিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বড় ফেরী রুহুল আমিন এমন বেগে এসে আঘাত করেছে তাতে দাড়িয়ে থাকা পন্টুনটি স্থানচ্যুত হয়। পাশাপাশি ডাউন পকেটের প্রতিটি জয়েন্ট ভেঙ্গে আলাদা হয়ে যায়। আঘাতের কারণে আরো বড় কিছু দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। অল্পের জন্য সবাই রক্ষা পেয়েছে। আগামী বুধবারের আগে চালু করা কষ্টকর বলে তিনি মনে করেন।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক(মেরিন) আব্দুস সোবহান দৌলতদিয়া ঘাট পরিদর্শন শেষে বলেন, দৌলতদিয়ায় ছয়টির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৩নম্বর ঘাটের পন্টুন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় ঘাটটি বন্ধ রয়েছে। এতে করে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হলেও রাতেই চালু করার চেষ্টা চলছে।