॥স্টাফ রিপোর্টার॥ আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সফিকুল ইসলাম সফি।
তিনি ২০০৩ সাল থেকে অদ্যাবধি দুই মেয়াদে রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি ২বার জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, রাজবাড়ী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, রাজবাড়ী ডায়াবেটিক হাসপাতালের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, জেলা মাইক্রোবাস-কার মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা, জেলা কাঠ ও ফার্নিচার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আজীবন সদস্য, জেলা অফিসার্স ক্লাবের সদস্য এবং হুমায়ুন আহম্মেদ পাঠক ফোরামের সভাপতি। এছাড়াও তিনি জেলা রিক্সা ও ভ্যান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি, জেলা মাইক্রোবাস-প্রাইভেট কার মালিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিগত ২০১১ সালে ১৭ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত রাজবাড়ী পৌরসভার নির্বাচনে তিনি ওয়ার্ড পর্যায়ের অধিকাংশ নেতাকর্মী ও জেলা আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশের সমর্থনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও শেষ মুহূর্তে দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে বিরত থাকলেও ৩হাজার ২শত ১১ভোট পান। এরপর আর কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।
মোঃ সফিকুল ইসলাম সফি ১৯৬৪ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী রাজবাড়ী শহরের দক্ষিণ ভবাণীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম আব্দুল মজিদ এবং মাতা মরহুমা নূরুন নাহার বেগম। দক্ষিণ ভবাণীপুরেই তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তিনি ১৯৮১ সালে রাজবাড়ী সরকারী কলেজে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ছাত্র রাজনীতির ধারাবাহিকতায় মূল দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসেন। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম সফি একসময় বৃহত্তর ফরিদপুরের কৃতি ফুটবলার ও অ্যাথলেট ছিলেন। পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার পর সব বাধা-বিঘœ অতিক্রম করে রাজবাড়ীতে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করে গড়ে তুলেছেন। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে হামলায় আহত নেতাকর্মীদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার ব্যাপারে জোরালো ভূমিকা রেখে তিনি প্রশংসিত হন। ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে আন্দোলন ও পিকেটিং করার সময় তিনি কয়েক দফা বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীদের দ্বারা হামলার শিকার হন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা-ভাংচুর চালানো হয়। উত্তাল সময়গুলোতে শত বাধা ও চাপের মুখেও তিনি দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন, নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিরন্তর ভূমিকা রেখে চলেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক।
তার সহধর্মিনী হাসিনা ইসলামও একজন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী। মহিলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির পাশাপাশি তিনি জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও লেডিস ক্লাবের নেতৃস্থানীয় সদস্য এবং সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।
উপজেলা নির্বাচনের অংশগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ সফিকুল ইসলাম সফি বলেন, আওয়ামী লীগের সক্রিয় একজন কর্মী হিসেবে, দুঃসময়ে রাজপথের একজন সৈনিক হিসেবে জনগণের সাথে এবং দলের নেতাকর্মীদের সাথে আমার সম্পর্কটা অত্যন্ত মজবুত। দল ও জনগণের মধ্য থেকেই আমার প্রার্থীতার জন্য জোরালো দাবী উঠেছে। তাই আমি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজবাড়ী সদরে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন দাবী করবো। আশা করি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার যে ভিশন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই সেই লড়াইয়ে শরীক হওয়ার জন্য আমার নেতাকর্মীসহ সকলকে শরীক হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।