॥আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে গত ১০ই জানুয়ারী জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে সেখানে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে দেয়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
তিনি তার বক্তব্যে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে সুদীর্ঘ সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, পাকিস্তানী সরকার গ্রেফতার করার আগে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণা, গ্রেফতার করে বঙ্গবন্ধুকে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে যাওয়া এবং কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে পুনরায় ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী স্বাধীন-স্বার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করার ইতিহাস তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর যে বিজয় অর্জন করেছিল, সে বিজয়ের আনন্দ পূর্ণতা পেয়েছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী জাতির পিতাকে তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশে ফিরে পেয়ে”।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪র্থ বারের মতো গঠিত সরকারের সূদূর প্রসারী রূপকল্পসমূহের কথা উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার অদম্য ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে পারবো।”
নতুন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে মোমেনের সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও কূটনৈতিক প্রজ্ঞার আলোকে সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে আরও নেতৃত্বশীল ও গঠনমূলক ভূমিকা রেখে পররাষ্ট্র খাতে ‘শেখ হাসিনা সরকার’ এর ইপ্সিত সাফল্য তুলে আনতে পারবে বলে রাষ্ট্রদূত মাসুদ তার প্রত্যাশার কথা জানান।
স্থায়ী প্রতিনিধির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মোঃ আরিফুল ইসলাম, ইকোনমিক মিনিস্টার ইকবাল আব্দুল্লাাহ হারুন, ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার খান ফিরোজ আহমেদ, মিনিষ্টার পলিটিক্যাল মনোয়ার হোসেনসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা অনুষ্ঠানটির সঞ্চালতা করেন মিশনের হেড অফ চ্যান্সারি নিরুপম দেব নাথ।