॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল গাজী ও সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪৫জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত ২২শে ডিসেম্বর বসন্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য ইসলাম খা(৪০) বাদী হয়ে রাজবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১০/১৫জনকে আসামী করা হয়। রাজবাড়ী থানার মামলা নং-৩৩। ধারাঃ ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩০৭/৪৩৬/৩৮০/১১৪/৫০৬ পেনাল কোড তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪/৫।
মামলার আসামীরা হলো ঃ ধুলদী লক্ষীপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন মিয়া(৪৭), রিপন খা(২৫), ইমন খা(২০), আসলাম খা(৪৫), কোলারহাট গ্রামের আবুল গাজী(৫৫), ধুলদী লক্ষীপুর গ্রামের নজরুল মৃধা(৫০), সালাম শেখ(৩৫), জাকির শেখ(২৫), ফারুক প্রামানিক(৩৫), রাজাপুর গ্রামের সেলিম খান(৫০), বড় ভবানীপুর গ্রামের ইউসুফ পাটোয়ারী(৫৫), মোহাম্মদ আলী হেকো(৪৫), কোলারহাট গ্রামের জিল্লুল মিয়া(৪৫), বড় ভবানীপুর গ্রামের জাকির দেওয়ান(৫০), মজলিসপুর গ্রামের নাসির শেখ(৪২), উদয়পুর গ্রামের মিরন শেখ(৩০), আহলাদীপুর গ্রামের হবিবর রহমান(৩৫), আজিজ শেখ(৫০), শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া(৫০), শাইলকাঠি গ্রামের সিদ্দিক মোল্লা(৪৮), শাহিন(৩৮), সুলতানপুর ইউপির মেম্বার আমিরুল ইসলাম বুলেট(৩৮), রামনগর গ্রামের আজিজ খা(৪৫), রাজ্জাক(৪০), শ্যামনগর গ্রামের নাসির হোসেন(৩৫), শাইলকাঠি গ্রামের সোবাহান শেখ(৩২), চরশ্যামনগর গ্রামের নজরুল ইসলাম(৫৫), সুলতানপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জালাল মোল্লা(৫০), সুলতানপুর গ্রামের আঃ মালেক সরদার(৪৮), ধুলদী জয়পুর গ্রামের আজাদ সরদার(৪২), রূপপুর গ্রামের শাজাহান মল্লিক(৫০), খানখানপুর গ্রামের সামাদ বেপারী(৪৮), সাদীপুর গ্রামের বাবুল মোল্লা(৪২), রূপপুর গ্রামের নজরুল কাজী(৪৫), নিমতলা গ্রামের মেহেদী(২৭), গৌরীপুর গ্রামের সালাম শেখ(৪৫), বড়নুরপুর গ্রামের হবিবর রহমান(৩১), ইউসুফ শেখ(৪৫), জামাল মাস্টার(৪৮), সফর মোল্লা(৪০), সালাম মোল্লা(৪৬), বড়ভবানীপুর গ্রামের গফুর শিকদার(২৬), শহীদ শিকদার(৪৫), বকুল দেওয়ান(৩২) ও রামপুর গ্রামের মোমিন মোল্লা৪৮)।
বসন্তপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ইসলাম খা জানান, ধুলদী লক্ষীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বসন্তপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাচন রয়েছে। গত ২১শে ডিসেম্বর সকালে ওই অফিসে আমার ছেলে রেজাউল খান(২২) দলীয় প্রার্থীর নৌকা প্রতিকের পোস্টার লাগাতেছিল। এ সময় ইকবাল হোসেন মিয়ার নির্দেশে রিপন, ইমন ও আসলাম ছিড়ে ফেলে। আমার ছেলে প্রতিবাদ করায় তারা তাকে মারপিট করে এবং ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের নৌকার পোষ্টার লাগালে তারা তাকে হত্যার হুমকি দেয়। ওই দিন রাত সোয়া ১১টার দিকে আমিসহ অন্যান্যরা নেতাকর্মী ওই অফিসে নির্বাচনী মিটিং শেষ করে বাইরে বের হলে উল্লেখিতরা আমাদের লক্ষ্য করে পর পর ৩টি বোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় বোমার শব্দে আমরা আতংকিত হয়ে দিকবিদিক ছোটাছুটি করে আত্মরক্ষা করি। পরে তারা আওয়ামী লীগের ওই অফিসে প্রবেশ করে একটি কালার টেলিভিশন বের করে নেয় এবং অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদের দেয়া আগুনে অফিসের চেয়ার টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এ খবর লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।