১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বাঙালির স্বাধীনতার ইতিহাসে এ দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তা এই দিনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে পরিপূর্ণতা পায়। ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ, দু’লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম আর অগণিত বাঙালির রক্তস্নাত পথে হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাঙালি জাতি এই দিনে ছিনিয়ে এনেছিল এক পূর্ণাঙ্গ বিজয়। বিজাতীয় শাসনের নাগপাশকে ছিন্ন করে পৃথিবীর মানচিত্রে পূর্ণ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।
মহান বিজয় দিবসের এ শুভলগ্নে বিনম্র চিত্তে পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি- সেই সকল শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাঁরা দেশ মাতৃকার জন্য নিজেদের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি সেই সকল শ্রদ্ধেয় মা-বোনদের যাঁদের মূল্যবান সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের অম্লান এই বিজয়, মানচিত্র আর লাল সবুজ পতাকা। আজকের এই আনন্দঘন দিনে রাজবাড়ী জেলার সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি জানাচ্ছি সশ্রদ্ধ সালাম ও অভিবাদন।
একাত্তরের শহীদদের কাছে আমাদের ঋণ পরিশোধ হওয়ার নয়। সময় এসেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স¦প্ন বাস্তবায়নের জন্য দেশপ্রেমের অগ্নিমন্ত্রে উজ্জীবিত হবার এবং আত্মত্যাগের বহ্নিশিখায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নব উদ্যমে অসাম্প্রদায়িক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার। দেশ প্রেমের আদর্শে বলীয়ান হয়ে দলমত ও ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি সুখী, সুন্দর, সমৃদ্ধ, সুজলা, সুফলা এক সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা এক সাথে কাজ করবো- মহান বিজয় দিবসে এই হোক আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়।
আসুন আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার স¦প্নকে বাস্তবে রূপদানের মাধ্যমে লাখো শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করি।
(মোঃ শওকত আলী)
জেলা প্রশাসক
রাজবাড়ী।