॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেছেন, বিগত ১২বছর ধরে পুলিশ আমাদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। আর ১০ বছর ধরে তারা আমাদের কোন দলীয় কর্মকান্ড করতে দেয়নি। সেই পুলিশ আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনতে চায়। তারা ডুবন্ত নৌকাকে টেনে উঠাতে চায়। যারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে অতি উৎসাহী সে সমস্ত অফিসারকে রাজবাড়ী থেকে বদলী করতে হবে।
গতকাল ২৭শে নভেম্বর রাত ৯টায় দলীয় মনোনয়নপত্রের চিঠি নিয়ে ঢাকা থেকে রাজবাড়ী জেলা বিএনপি কার্যালয়ে পৌছে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত ১০বছরে আওয়ামীলীগ সারাদেশে আমাদের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে নির্যাতন, হত্যা ও গুম করেছে। তাদের লুটপাটে ব্যাংক, বীমা আজ দেওলিয়ার পথে। রাজবাড়ীতে আমাদের পৌর বিএনপির সভাপতি মঞ্জুরুল আলম দুলাল, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এহসানুল করিম হিটু, খানগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তদকির, বানিবহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খোরশেদ, চন্দনী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মালেক, দাদশী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনসহ ৩৭জন নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় কারাগারে আছেন। আমি হাইকোর্ট থেকে ২৭জন নেতার জামিন করিয়ে ছিলাম। কিন্তু অপর একটি গায়েরী মামলায় পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে আটক রেখেছে। আমাদের সিনিয়র নেতা এডঃ আসাদুজ্জামান লাল ও নঈম আনসারীকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গোয়ালন্দেও অনেক নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় কারাগারে আছেন।
খৈয়ম আরো বলেন, আজও আওয়ামী লীগের প্রতিমন্ত্রীকে পুলিশ প্রটোকল দিয়ে রাজবাড়ীতে এনেছেন। আর আমি ডিসি, এসপির কাছে চিঠি দিয়েও আমার নিরাপত্তার জন্য কোন পুলিশ পাইনি। নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হচ্ছেন জেলা প্রশাসক। আর আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব এসপি’র। আমরা তাদের সাথে বসবো। এটা পৌরসভার নির্বাচন নয়। গত পৌরসভা নির্বাচনে কারচুপি করে ও ভোট কাটার মাধ্যমে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করা হয়েছে। এটা জাতীয় নির্বাচন। আমার কাছে জরিপ আছে রাজবাড়ীতে আওয়ামীলীগ ২০% ভোটও পাবে না।
আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে এসেছি। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই আমরা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করবো এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো।
এর আগে তিনি পার্টি অফিসে এসে পৌছালে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে দলীয় কার্যালয়। এরপর বিভিন্ন নেতাকর্মীরা তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান।
এ সময় জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি এডঃ আসাদ্জ্জুামান লাল, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী আহসান হাবীব, জেলা জাসাস সভাপতি আব্দুর রউফ হিটু, জেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আলম, সাবেক সভাপতি আব্দুল গফুর মন্ডল, জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল হাসেন সুজন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।