॥রফিকুল ইসলাম॥ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালার বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ২৫শে নভেম্বর বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আশেক হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আলমগীর হুসাইন, সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও অন্যান্য সহকারী কমিশনারগণসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী নির্বাচন বিধিমালা তুলে ধরে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা রিটার্নিং অফিসারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের প্রধান দায়িত্ব। ২৬শে নভেম্বরের মধ্যে সকল ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে ফেলতে হবে। মোটর সাইকেল র্যালী বা আনন্দ-উল্লাস করতে দেয়া যাবে না। ২রা ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। তারপর ৩-৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত আপীল করা যাবে। ৬-৮ই ডিসেম্বর আপীল নিষ্পত্তি করা হবে। পোস্টার ছাপানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ছাপাখানার নাম থাকতে হবে। পোস্টারে প্রার্থীর ছবির সঙ্গে দলীয় প্রধান ও প্রতীক থাকতে পারবে। বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জা করা যাবে না। শোভাযাত্রা বা মিছিল করার জন্য জলযান, স্থলযান ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচারণা চালানো যাবে। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো যাবে। ২৮শে ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত কোন প্রচারণা চালানো যাবে না। একই সময় একই স্থানে যাতে একাধিক প্রার্থী প্রচার সভা না হয় সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ জন্য পূর্ব থেকে প্রার্থীদের সিডিউল জেনে নিতে হবে। কেউ ডাকবাংলো, সার্কিট হাউজ, যানবাহনসহ সরকারী কোন সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবে না। নির্দিষ্ট ব্যয়সীমা ২৫ লক্ষ টাকার অধিক ব্যয় করা যাবে না। ৪শত বর্গমিটারের বেশী নির্বাচনী প্যান্ডেল এবং ৩টির বেশী মাইক ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী গেট বা তোরণ নির্মাণ কিংবা চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। প্রতিটি ইউনিয়নে সর্বোচ্চ ১টি এবং পৌরসভা এলাকার প্রতি ওয়ার্ডে ১টির অধিক নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা যাবে না। ক্যাম্পে ভোটারদের আপ্যায়ন কিংবা উপঢৌকন প্রদান করা যাবে না। শার্ট, গেঞ্জি, শাড়ী বা পরিধেয় কোন কাপড়ে প্রচারণা চালানো যাবে না। ব্যক্তিগত আক্রমনাত্মক বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে প্রচারণা চালানো যাবে না। মসজিদ, মন্দিরসহ কোন ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রচারণা চালানো যাবে না। অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ ও ভোটার ছাড়া রাজনৈতিক দলের বা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীগণ ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে ঘোরাফেরা করতে পারবে না। প্রিজাইডিং অফিসার ও কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বরত কর্মকর্তা ব্যতীত কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। নির্বাচনী বিধিমালা ভঙ্গ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে থেকে আমাদেরকে সমন্বয়ের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।