॥চঞ্চল সরদার॥ রাজবাড়ীতে এবার লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। সেই সাথে বাজার দর ভাল থাকায় লাউ চাষীদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। বাজার পড়ে না গেলে অন্তত ৬ থেকে ৭ শতাধিক লাউ চাষীর ভাগ্যের চাকা এবার ঘুরে যাবে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের তথ্য মতে, এ মৌসুমে উপজেলায় ২০০ হেক্টর জমিতে শীত লাউ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে লাউ চাষ হয়েছে ২৪০ হেক্টর জমিতে। লাউয়ের প্রত্যাশিত বাজার দর এবং অনুকূল আবহাওয়ার কারণে কৃষকরা লাউ চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
সরেজমিনে সদর উপজেলায় মুলঘর, বসন্তপুর, সুলতানপুর, মিজানপুর ইউনিয়নের দেখা যায় লাউ চাষীরা আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন। তবে তাদের মধ্যে এক ধরনের আশংকাও কাজ করছে যদি লাউয়ের দাম কমে যায় তাহলে তারা লোকসানের মুখে পড়বেন।
সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের দয়ালনগর গ্রামের লাউ চাষী টোকন শেখ জানান, এবার তিনি ১০বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ২৫ শতাংশে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। আর ২৫শতাংশে লাউ বিক্রি হবে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এখন বড় একটি লাউ পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০টাকা। মাঝারি সাইজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও ছোট বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ১৮ টাকা করে।
তিনি আরও জানান, যেহেতু এবার লাউয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে লাউ আসছে অনেক। দাম কমে গেলে আমরা চাষীরা ক্ষতির মধ্যে পড়ে যাবো।
একই ইউনিয়নের নয়নদিয়া গ্রামের লাউ চাষী আলতাফ জানান, ধানের চেয়ে লাউ চাষে বেশি লাভ হওয়ায় তিনি এবার লাউ চাষ করছেন। তিনি এবার ৪০ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করছেন। দামও ভালো পাচ্ছেন বলে জানান এই কৃষক।
সদর উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সুজিৎ কুমার নন্দি জানান, আমাদের রাজবাড়ীতে আগে সবজি আমদানি করতে হতো অন্য জেলা থেকে। কিন্তু এখন আমাদের রাজবাড়ীতে সবজি আমদানি করতে হয় না। এখানে আগে ৩টা ফসল হতো, এখন এখানে ৪টা ফসল হচ্ছে। যেটা বেড়েছে সেটায় সবজি চাষ হচ্ছে। এখন রাজবাড়ীর চাহিদা মিটিয়ে ঢাকায় রপ্তানী করা হচ্ছে। আমাদের রাজবাড়ীতে এবার লাউয়ের ভালো ফলন হয়েছে।