॥স্টাফ রিপোর্টার॥ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, সরকার গত ১০ বছরে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে জনগণের জীবনমানে গুণগত পরিবর্তন এনেছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নে এখন আইসিটি একটি কার্যকর বাহন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত গত ১৯শে অক্টোবর জাতিসংঘের চলতি ৭৩তম অধিবেশনের দ্বিতীয় কমিটিতে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ বিষয়ে বক্তৃতায় এ কথা বলেন। গতকাল সোমবার তথ্য বিবরণীতে এ খবর জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এর ফলে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনলাইনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সামাজিক সুরক্ষাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। ইন্টারনেট ভিত্তিক জনসেবার ব্যাপক প্রসারের ফলে তৃণমূল পর্যায়ে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। দুর্নীতি ও অনিয়ম ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে আর সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে’।
তিনি বলেন, “আমরা ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আইসিটিকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়েছি বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে। আমরা ইন্টারনেট ভিত্তিক আর্থিক ব্যবস্থাপনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি যাতে নারী ও প্রান্তিক এলাকার জনগণ তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহজভাবে এর ব্যবহার করতে পারে এবং অসমতা হ্রাস পায়। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মোবাইল ভিত্তিক আর্থিকসেবা এক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে। ব্লুইকোনমি’র প্রসারে কিভাবে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’
আইসিটিপার্ক স্থাপনের মাধ্যমে সফট্ওয়্যার নির্মাণ সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, ‘শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার সামর্থ্য অর্জন বা দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের ক্ষেত্রেই নয়, সবুজ প্রবৃদ্ধি ও কার্বনমুক্ত শিল্পায়নের প্রসারেও আমরা আইসিটি ব্যবহারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাশূন্যের জগতে বাংলাদেশের বিচরণের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা, এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ঝুঁকি ও প্রতিকূলতা মোকাবিলার সামর্থ্য অর্জনে জনগণকে আমরা আরো সক্ষম করে গড়ে তুলতে পারবো’।