॥আবুল হোসেন॥ প্রবল স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরী চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ট্রিপ সংখ্যা কমে গেছে প্রায় অর্ধেকে। দৌলতদিয়ার ৫ ও ৬ নম্বর ঘাট দুইটিতে সহজে ফেরী ভিড়তে পারছে না। দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট প্রান্তে যানবাহন আটকা পড়ায় যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ছোট, বড় ও মাঝারী ১৭টি ফেরী চালু রয়েছে। তীব্র স্রোতের মধ্যে চলতে গিয়ে অনেক ফেরীর যান্ত্রিক ক্রটি দেখা দিচ্ছে। মাঝে-মধ্যে দু’একটি ফেরী বিকল হয়ে পড়ছে। ইঞ্জিন দুর্বল থাকায় ঝুঁকি এড়াতে সন্ধ্যার পর থেকে মালতি ও স্বর্ণচাপা নামের ২টি ফেরী বন্ধ রাখা হচ্ছে। যানবাহন পারাপার কমে গিয়ে উভয় ঘাটে ফেরী আটকা পড়ছে।
দৌলতদিয়ার ৬টি ফেরী ঘাটের মধ্যে কার্যত ৪টি ঘাট সচল রয়েছে। ২ নম্বর ঘাটে বিআইডব্লিউটিএর লোকবল থাকে না বা তাদের উদ্ধারকারী টাগ জাহাজ বেঁধে রাখায় কোন ফেরী ভিড়ে না। এ ছাড়া স্রোতের তীব্রতায় ৬নম্বর ঘাটে সহজে ফেরী ভিড়তে পারছে না। কার্যত এটি প্রায় বন্ধের মতো।
গতকাল শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে ৫নম্বর ঘাটে ফেরীতে ওঠার পূর্ব মুহূর্তে দূরপাল্লার একটি এসি বাসের তেলের পাইপ ফেটে বিকল হয়ে পড়ে। প্রায় আড়াই ঘন্টা পর গাড়ীটি ফেরীতে উঠতে সক্ষম হয়। ততক্ষণ পর্যন্ত ওই ঘাট দিয়ে ফেরীতে গাড়ী ওঠানামা বন্ধ ছিল।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বলেন, স্রোতে ফেরী চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ট্রিপ প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। দৌলতদিয়ার ৬নম্বর ঘাটে সহজে ফেরী ভিড়তে পারছে না, সময় লাগছে অনেক বেশী। এসব কারণে গতকাল শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাটে ৫শতাধিক গাড়ী আটকা পড়ে। পাটুরিয়া ঘাট এলাকায়ও গাড়ী আটকা পড়ছে।