॥স্টাফ রিপোর্টার॥ কলেজের কোড প্রতারণা মামলায় ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা এলাকার লতিফুন্নেছা রেসিডেনসিয়াল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ গোলাম কাওছার (৫২)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত ২রা সেপ্টেম্বর সকালে ফরিদপুরের সদরপুর থানার ভাষানচর গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ফরিদপুর পিবিআই’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার জানান, শেখ গোলাম কাওছার লতিফুন্নেছা রেসিডেনসিয়াল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকা অবস্থায় উক্ত কলেজের অনুমোদন পাওয়ার পর কলেজের কোড নম্বর পায় ৫১৩৬। কিন্তু সে প্রতারনামূলকভাবে তার নিজ এলাকা ভাষানচরে গিয়াস উদ্দিন খান কলেজ স্থাপন করে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে জালিয়াতির মাধ্যমে লতিফুন্নেছা রেসিডেনসিয়াল কলেজের কোড নম্বর ৫১৩৬ ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করে। এর ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা গিয়াস উদ্দিন খান কলেজে ভর্তি হলেও সার্টিফিকেট পাবে টেপাখোলার লতিফুন্নেছা রেসিডেনসিয়াল কলেজ থেকে। বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন ব্যতীত কলেজ স্থানান্তর আইনের পরিপন্থী হলেও সে এ কাজ করে এবং লতিফুন্নেছা রেসিডেনসিয়াল কলেজের বিভিন্ন ধরনের মালামালও নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা দায়ের হলে পিবিআই, ফরিদপুর স্বউদ্যোগে মামলারটির তদন্তভার গ্রহণ করে। শেখ গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতারের পর সে ফরিদপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ আলীর আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।