শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু নির্বাচনী আইন প্রণয়ন করেছিলেন –আইনমন্ত্রী

  • আপডেট সময় শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচনী আইন ‘দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২ (আরপিও)’ প্রণয়ন করেছিলেন।
নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু নির্বাচনী আইন ‘আরপিও’ প্রণয়ন করেন। আর এই আরপিও হচ্ছে সকল নির্বাচনী আইনের খুঁটি, এটাই আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে তরান্বিত করেছে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন। তিনি সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য এবং বাংলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশের সরকার পরিচালনায় ছিলেন, তখন শুধু আরপিও-ই নয়, তিনি এদেশের মানুষকে সংবিধান দিয়েছেন, সংবিধানে গণতন্ত্রের কথা বলেছেন, নির্বাচনের কথা বলেছেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কথা বলেছেন। কারণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে তিনি বিশ্বাস করতেন।’ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ পর্যন্ত জাতীয় সংসদের ১০টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব ক’টি নির্বাচনই হয়েছে ১৯৭২ সালে জারি করা রাষ্ট্রপতির আদেশ ‘দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২ (আরপিও)’ অনুযায়ী। এটি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ নামে পরিচিত। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর সংসদ কার্যকর না থাকায় ১৯৭২ সালের ২৬শে ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি ওই আদেশ জারী করেছিলেন। এটি ছিল ওই বছর রাষ্ট্রপতির ১৫৫ নম্বর আদেশ। ১৯৭৩ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদে আদেশটি অনুমোদন পায়। ড. এটিএম শামসুল   হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের আমলে ২০০৮ সালে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে আরপিও ১৯৭২-এর সংশোধন করা হয়।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর দিক-নির্দেশনায় ওই সময় আরপিও প্রণীত হয়েছিল। নির্বাচনী আইন নির্বাচন সংক্রান্ত আইন-বিধান। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা, প্রার্থী এবং প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের আচরণ ব্যাখ্যা এবং এ সম্পর্কিত বিধি-বিধান লঙ্ঘন করলে লঙ্ঘনকারীদের শাস্তির বিধান নিশ্চিত করাই নির্বাচনী আইনের লক্ষ্য।
বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিধান রাখা হয়। রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১১৮নং অনুচ্ছেদে অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দান করেন। নির্বাচন কমিশন সংবিধান ও আইনের আওতায় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন। সংবিধানের ১১৯ নং অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুত ও তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব পদ্ধতি নির্ধারণ এবং কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ১৯৭২ এবং আচরণ বিধিমালা ১৯৯৬ প্রণীত হয়। এসব আদেশ ও বিধিমালার সমন্বয়েই নির্বাচনী আইন-বিধান গঠিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!