শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

বিমসটেক সম্মেলনে সহযোগিতা সম্প্রসারণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৮

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল সৃষ্টি, বিনিয়োগ ও জ্বালানী খাতে যৌথ প্রচেষ্টা, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং অর্থায়ন প্রক্রিয়া গড়ে তোলার মাধ্যমে বিমসটেক ফোরামে সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, “সকল ক্ষেত্রে নতুন গতিশীলতার কারণে বৈশ্বিক দৃশ্যপট দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক এই ত্রিমুখী সহযোগিতার মাধ্যমে নতুন গতি ও চলমান বাস্তবতার সঙ্গে সমভাবে এগিয়ে যেতে হবে।”
গতকাল ৩০শে আগস্ট নেপালের কাঠমন্ডুতে হোটেল সোয়ালটি ক্রাউন প্লাজায় চতুর্থ বিমসটেক সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের(বিমসটেক) এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে “টুওয়ার্ডস এ পিসফুল, প্রোসপারাস এন্ড সাসটেইনেবল বে অব বেঙ্গল রিজন।”
নেপালের প্রধানমন্ত্রী এবং চতুর্থ বিমসটেক সম্মেলনের চেয়ারপার্সন কে.পি শর্মা ওলি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ভুটানের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দাশো সেরিং ওয়াংচুক এবং বিমসটেকের অন্যান্য নেতারা উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, গত একুশ বছরে বিমসটেকের কিছু ভালো সাফল্য আছে, যদিও আরো বিপুল কাজ আমাদের সামনে পড়ে আছে। দৃশ্যমান ফলাফল পেতে আমাদের বাস্তব সহযোগিতা এগিয়ে নিতে মৌলিক আইনী কাঠামো সংহত করা প্রয়োজন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রনে ২০১৬ সালে গোয়ায় অনুষ্ঠিত বিশেষ বিমসটেক রিট্রিট ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গোয়ায় গৃহীত ১৬ দফা কর্মপন্থার কিছু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হচ্ছে, অনেকগুলো অচিরেই বাস্তবায়িত হবে।
বিমসটেকের কিছু সদস্য দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগে বিদ্যুতের গ্রীডে সংযোগের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, অন্যদের অংশগ্রহণে এটি বিমসটেক ইলেকট্রিসিটি ট্রিসিটি গ্রীডে পরিণত হতে পারে।
শেখ হাসিনা বিমসটেক থেকে দ্রুত সাফল্য পেতে আরো সমন্বিত, গুরুত্ব প্রদান এবং বাস্তবায়নযোগ্য করে তুলতে বিভিন্ন গুচ্ছ থেকে ১৪টি খাত নির্দিষ্টকরণের প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, যোগাযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, জ্বালানী, দারিদ্র বিমোচন এবং কৃষিখাত থেকে জনগণ সরাসরি অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে লাভবান হতে পারে, যদি এগুলোকে ‘টেকসই উন্নয়ন’ নামে একটি গুচ্ছে শ্রেণীভুক্ত করা যায়। সিকিউরিটি, কাউন্টার টেররিজম, ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ‘নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্ব’ নামে অপর একটি গুচ্ছের আওতায় আনা হলে সেটি আমাদের সুরক্ষা দেবে, সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেবে।
তিনি বলেন, ‘পিপল টু পিপল কন্ট্রাক্ট’ নামে তৃতীয় ক্লাস্টারের আওতায় আমাদের সংস্কৃতি ও জনস্বাস্থ্য আনা হলে সেটি আমাদের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে। একইভাবে নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দৃশ্যপটে বিমসটেক কাঠামো এবং সুযোগ মূল্যায়নের বিষয়টি আমরা বিবেচনা করে দেখতে পারি। তিনি গত সাড়ে চার বছরে বিমসটেককে সামনে এগিয়ে নিতে সহযোগিতার জন্য নেপাল সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!