॥আবুল হোসেন॥ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার অসংখ্য মানুষের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে কর্মস্থলে ফেরা অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে দৌলতদিয়া-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ গাড়ির সারি ফেরী ঘাট থেকে মহাসড়কের গোয়ালন্দের পদ্মার মোড় পর্যন্ত প্রায় ৬কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিসি সুত্র জানায়, নাব্যতা সংকটে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে বড় ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় ওই রুটের অধিকাংশ গাড়ি নদী পার হতে দৌলতদিয়ায় আসছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরী স্বল্পতার পাশাপাশি নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরী স্বাভাবিক চলতে পারছেনা। প্রতিটি ফেরীর ট্রিপ দিতে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন সময় লাগছে। এসব কারণে ঘাট এলাকায় যানবাহন আটকা পড়ছে। এই নৌপথে ঈদের দিন পর্যন্ত ২০টি ফেরী যানবাহন পারাপার করলেও গতকাল ২৮শে আগস্ট ১৮টি ফেরী চলাচল করে। গত সোমবার সকালে রোরো ফেরী শাহ জালালের প্রপেলশান সিস্টেমে বড় ধরণের ত্রুটি দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ ফেরীটি বন্ধ রেখেছে।
সরেজমিন গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দেখা যায়, ফেরী ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাসষ্ট্যান্ড পদ্মার মোড় পর্যন্ত প্রায় ৬কিলোমিটার জুড়ে গাড়ির দীর্ঘ সারিতে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস ও ব্যাক্তিগত গাড়িসহ প্রায় এক হাজার গাড়ি নদী পাড়ি দেয়ার অপেক্ষায় আছে। এছাড়া ট্রাক টার্মিনাল ও চারলেন মহাসড়কের পশ্চিম লেনের এক সারিতে ২/৩দিন ধরে আটকে আছে প্রায় ৩০০ অপচনশীল পণ্যবাহী যানবাহন।
ফরিদপুরের সালথা থেকে পিঁয়াজ বোঝাই ট্রাক চালক (ঢাকা-মেট্রো-ড-১১-৫৭৮৭) সোহেল মোল্যা জানান, গত সোমবার বিকেলে গোয়ালন্দ মোড় পৌছলে পুলিশ আটকে দেয়। রাত থাকার পর গতকাল সকালে ছেড়ে দিলেও ঘাট থেকে প্রায় ৪কিলোমিটার দূরে যানজটে আটকা পড়ি। বিকেল পাঁচটা গড়িয়ে গেলেও তারা ফেরী ঘাট থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে আটকে রয়েছি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, নদীতে প্রচন্ড স্রোত ও শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌপথে ফেরী চলাচল ব্যহত হওয়ার কারণে দৌলতদিয়া ঘাটে অতিরিক্ত গাড়ী আসায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমান ১৮টি ফেরী চলাচল করছে। এ সপ্তাহ জুড়েই এমন চাপ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান।