॥আবুল হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে প্রয়োজন মাফিক ফেরি বাড়ানো হলেও তীব্র স্রোত এবং কোরবানীর পশুবাহি গাড়ি প্রবেশ করায় দৌলতদিয়া ঘাটে গাড়ির লম্বা লাইন তৈরী হচ্ছে।
পশুবাহি গাড়ি ও যাত্রীবাহি পরিবহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করায় ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকতে হচ্ছে যাত্রীবাহি পরিবহনগুলোকে। গতকাল ১৬ই আগস্ট বিকেল পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় মহাসড়কের প্রায় চার কিলোমিটার লম্বা গাড়ির লাইন তৈরী হয়।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় জানায়, প্রতিদিন এই নৌপথ দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার গাড়ি পারাপার হয়। শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌপথে নাব্যতা সংকট দেখা দিলে ওই রুটের অধিকাংশ গাড়ি এই নৌপথ দিয়ে পার হওয়ায় ঘাটে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। এরপর কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে কোরবানীর পশুবাহি গাড়ি ছুটতে শুরু করেছে। এসব গাড়ি কয়েক দিন ধরে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় বাড়তি চাপের সৃষ্টি করছে। এই নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১৬টির মতো ফেরী চললেও তিনদিন ধরে সর্বমোট ২১টি ফেরী চলাচল শুরু করে। এরমধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যান্ত্রিক ক্রটি দেখা দিলে ‘চন্দ্র মল্লিকা’ নামক একটি ইউটিলিটি ফেরীকে পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে রাখা হয়েছে। বর্তমানে ২০টি ফেরী স্বাভাবিকভাবে চলছে। তারপর গাড়ির চাপ কমছেনা।
মাগুরা থেকে আসা গাজীপুরগামী একটি পণ্যের ট্রাক চালক আলাউদ্দিন মোল্যা বলেন, গত বুধবার বিকেলে ঘাটে পৌছে লম্বা লাইনে আটকা পড়েছি। প্রায় ১৮ঘন্টা পরও ঘাট থেকে অনেক পিছনে অপেক্ষা করছি।
তিনি আরো বলেন, কোরবানীর পশুবাহি গাড়ি এবং যাত্রীবাহি গাড়িগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করায় আমাদের মতো সাধারণ পন্যের গাড়িকে এভাবে রাস্তায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী দালালের মাধ্যমে কেউ বাড়তি টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে পারলে সে আগেভাগে পার হয়ে যাচ্ছে বলেও জানান।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফেরী বাড়িয়ে ২১টি ফেরী চলাচল করছে। সবকটি ফেরী সচল থাকলে ঘাটে কাউকে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না বলে দাবী করেন।