শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে রাজবাড়ীতে পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পর করছে ৫শতাধিক গো-খামারী

  • আপডেট সময় রবিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৮

॥কাজী তানভীর মাহমুদ॥ পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তাই শেষ সময়ে কোরবানীর পশুকে মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছে রাজবাড়ীর ৫শতাধিক খামারী।
জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুসারে, এ বছর রাজবাড়ীর খামারগুলোতে ৬হাজার ৫৭৬টি ষাঁড়, ১৬৭টি বলদ, ২টি মহিষ, ১হাজার ৫৩৬টি গাভী, ৪হাজার ৩শত ছাগল ও ৯২টি ভেড়া কোরবানীর জন্য মোটাতাজা করা হয়েছে। নিষিদ্ধ মোটাতাজা করণের ওষুধ, ইনজেকশন ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক খাদ্য খাইয়ে পশু পালন করায় দেশের বিভিন্ন জেলায় রাজবাড়ীর সুনাম রয়েছে বলে জানান খামারীরা। এই সুনামের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা ছুটে আসছেন রাজবাড়ীর খামারগুলোতে। তবে ভারত থেকে গরু আমদানী করা হলে লোকসানের মুখে পড়ার আশংকা রয়েছে খামারীদের।
রাজবাড়ী শহরের ১নং বেড়াডাঙ্গা এলাকার খামারী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ধানের কুড়া, কাঁচা ঘাস, গমের ভুষি, ভুট্টা, ডাল, সরিষার খৈল, আখের গুড় ও লবণসহ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। এবারের ঈদে ভারত থেকে পশু আমদানী না হলে দেশী খামারীরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি আগামীতে খামার করতে উৎসাহিত হবেন অনেকে।
বালিয়াকান্দি উপজেলার গো-খামারী নাজির মোল্লা বলেন, গত বছর ৩৭টি ষাঁড় পালন করে ১৫লক্ষাধিক টাকা লাভ হয়েছিল। এ বছর ৩০টি ষাঁড় পালন করছি। স্থানীয় হাটেই গরুগুলো বিক্রি করা হবে।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, কোরবানীর ঈদের প্রায় ৬ মাস আগে থেকেই খামারীরা পশু মোটাতাজা করতে শুরু করেন। প্রতিটি উপজেলার খামারগুলোতে সার্বক্ষণিক নজরদারী করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে পশু মোটাতাজাকরণ করার জন্য খামারীদের উৎসাহিত করা হয়েছে। জেলায় এবার সাড়ে ১২ হাজারের উপরে কোরবানীর পশু প্রস্তুত রয়েছে। কোরবানীর পশুর হাটগুলোতে সুস্থ-সবল পশু বিক্রির লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে ভেটেরিনারী টিম কাজ করবে। তবে ভারতীয় গরু এলে খামারীরা লোকসানের মুখে পড়তে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!