॥স্টাফ রিপোর্টার॥ দেশের উন্নয়ন ও অর্জনে অনন্য সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজ ২১শে জুলাই বিকাল ৩টায় রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে।
ভারতের আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রী অর্জন, মহাকাশে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট পাঠানো, অস্ট্রেলিয়ার সিডনী থেকে গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড অর্জন ও বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করায় তাকে এই গণসংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে সফল করতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে তিন লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে বলে ধারণা করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাজধানী ঢাকাসহ আশেপাশের জেলাগুলোর নেতাকর্মীরা যেমন যোগদান করবেন, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ যোগদান করবেন।
দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এ গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য সংবর্ধনাস্থলকে সাজানো হয়েছে নান্দনিকভাবে। ইংরেজী বর্ণ ‘এল’ এর আকৃতিতে বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে ত্রিশ হাজার চেয়ার বসানো হয়েছে।
দেশের বরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খানের তত্ত্বাবধানে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৬টি ছবি নিয়ে আয়োজন করা হবে চিত্র প্রদর্শনীর। এ প্রদর্শনীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছবিসহ থাকবে তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে লেখা বইসমূহ। এছাড়াও প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা বই দু’টিও স্থান পাবে।
সংবর্ধনাস্থলের বাইরেও ব্যাপকভাবে সাজানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সংবর্ধনাস্থলে যে সড়ক দিয়ে আসবেন সে সড়কগুলোতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও অর্জনের ছবি সংবলিত পোস্টার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের পদচারণায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। মৎস্য ভবনের সামনে গণসংবর্ধনাস্থলের প্রবেশমুখে বিশাল একটি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন। মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র এবং তার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বিকেল তিনটা থেকে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাঙ্গালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংবলিত ত্রিশ মিনিটের একটি পরিবেশনা থাকবে।
আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল জানান, বিকাল তিনটায় আওয়ামী লীগের গণসংবর্ধনা শুরু হলেও দুপুর বারোটা থেকেই লোকজন আসা শুরু করবে। দুপুর ১২টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে। দেশের বরেণ্য শিল্পীরা এতে সংগীত পরিবেশন করবেন। গণসংবর্ধনায় আসার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ এই গণসংবর্ধনায় যোগদান করবেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন ও অর্জনের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখবেন বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে। এ গণসংবর্ধনা আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করছেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।