॥স্টাফ রিপোর্টার॥ সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার জন্য গঠিত নবম ওয়েজ বোর্ডের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেছেন, বর্তমান সরকার সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থায় কর্মরত সংবাদকর্মীদের জন্য বেতন বাড়ানোর বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক।
তিনি বলেন, সংবাদকর্মীরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জনগণের কাছে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের খবর তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
বিচারপতি নিজামুল হক গতকাল ৩রা জুলাই রাজধানীর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার সংবাদপত্রের সম্পাদক, প্রকাশক, সাংবাদিক এবং প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব(প্রেস) ও নবম ওয়েজ বোর্ডের সদস্য-সচিব মোঃ মিজানুল আলম, ওয়েজ বোর্ডের সদস্য মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, মতিউর রহমান, জেলা তথ্য কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শামসুজ্জামান এবং তথ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ফারুক আব্দুল মুমিন সভায় বক্তব্য রাখেন।
বিচারপতি নিজামুল হক সভায় অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে নবম ওয়েজ বোর্ডের বিষয়ে আলোচনা করেন এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি বিদ্যমান নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশ যাতে এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে সেজন্য বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ওয়েজ বোর্ডের টানা তিনটি বৈঠকে নোয়াব অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু এখন তারা এ বিষয়ে ইউটার্ন নিয়েছে।
তিনি বলেন, বিচারাধীন বিষয়ে আমি কোন কথা বলতে চাই না। তবে নোয়াব যা করেছে তা অনৈতিক।
তিনি আরো বলেন, ‘নবম ওয়েজ বোর্ডে তাদের প্রতিনিধি রয়েছে। তারাও বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে। নবম ওয়েজ বোর্ডের মহার্ঘ্য ভাতা ঘোষণার পর তাদের(নোয়াব) আদালতে যাওয়ার কোন নৈতিক অধিকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়েছে এবং সরকারের আমন্ত্রণে নোয়াব তাদের প্রতিনিধি দিয়েছে। তারা ওয়েজ বোর্ডের টানা তিনটি বৈঠকে যোগদান করেছে।’
মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল আরো বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নোয়াবের যদি কোন আপত্তি থাকত তাহলে তাঁরা তাদের প্রতিনিধিদের নাম পাঠাত না। তারা ওয়েজ বোর্ডের বৈঠকে আপত্তি জানাত। এ পর্যায়ে নোয়াবের গৃহীত পদক্ষেপ আইনগতভাবে বৈধ কিনা তা আদালত নির্ধারণ করবে।’