॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ২৩শে জুন সকালে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আম্রকানন চত্বর থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর নেতৃত্বে র্যালীটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এরপর কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রেবেকা খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স, রাজবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোঃ কামরুল ইসলাম গোলদার, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রুবাইয়াত মোঃ ফেরদৌস, পরিবার-পরিকল্পনা অধিধপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোঃ আজম ও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নূরে সফুরা ফেরদৌস প্রমুখ।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোঃ আশেক হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ ছাদেকুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাঈদুজ্জামান খান, এনডিসি মোঃ তৌহিদুর রহমান, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকারসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, অন্যান্য জেলার থেকে রাজবাড়ী জেলা বেশ এগিয়ে। এখানে প্রায় এক হাজার গরুর খামার রয়েছে। কৃষির জন্যও এ জেলার খ্যাতি রয়েছে। জেলা প্রশাসন মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। ছুটির দিনেও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাজ করে থাকেন। রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধের স্থায়ী সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন এবং বিদ্যুতের গ্রীড-উপকেন্দ্র নির্মিত হলে রাজবাড়ী জেলায় আরো উন্নত হবে।
তিনি ২০১৯ সালের মধ্যেই বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবসের এই আলোচনা সভায় না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আলোচনা সভায় পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোঃ কামরুল ইসলাম গোলদার জানান, চলতি ২০১৮ সালের মধ্যে প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য বিভিন্ন প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রুবাইয়াত মোঃ ফেরদৌস জানান, রাজবাড়ীতে ৪২ হাজার ভাতাভোগী রয়েছে, যারা বিভিন্ন ধরনের ভাতা পাচ্ছে। ভাতা বাবদ তাদেরকে বছরে প্রায় ১৬ কোটি টাকা করে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া রাজবাড়ীতে ১হাজার ২২৩জন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছে।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নূরে সফুরা ফেরদৌস জানান, জেলার ৯ হাজার ৭৬০জন দুঃস্থ মহিলাকে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।
পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোঃ আজম জানান, রাজবাড়ীতে তাদের বিভাগের অনেক পদ শূন্য রয়েছে। সে কারণে সেবা প্রদান ব্যাহত হচ্ছে। এজন্য খন্ডকালীন সেবাদানকারী নিয়োগের ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা চলছে।