॥আবুল হোসেন॥ আর কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার কাপড় ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা ভালো নেই বলে অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের মন খারাপ।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অধিকাংশ খরিদ্দার উপজেলা ছেড়ে জেলা শহর বা ঢাকাসহ বাইরে থেকে কেনা করছে। একই সাথে রয়েছে অর্থনৈতিক মন্দা। মানুষের হাতের অবস্থা ভালো না থাকায় এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, ঈদের অন্তত ১০/১২দিন আগ থেকে কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। কিন্তু এ বছর ঈদ খুব সন্নিকটে থাকলেও হাতে গোনা কয়েক দোকান ছাড়া মানুষের ভিড় দেখা যায় না। অধিকাংশ দোকানপাট ছিল ফাঁকা। আবার অধিকাংশ খরিদ্দাররা জেলা শহরের দিকেই বেশি ঝুকছে। এসব খরিদ্দারদের ধারণা জেলা শহর ছাড়া উপজেলার বাজারগুলোতে ভালো মানের পোষাক পাওয়া যায়না।
গোয়ালন্দ বাজারের বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোরের মালিক আব্দুস সালাম বলেন, অন্য বছরের তুলনায় অর্ধেক বেচাকেনা নেই বললেই চলে। কিছু খরিদ্দার আসার পর একটু ঘোরাফেরা করে চলে যায়। আরেক শাড়ি কাপড় বিক্রেতা মোঃ ওসমান শেখ জানান, বেচাকেনা তেমন নেই বলে একটি ঘুমিয়ে ছিলাম।
বাজারের তৈরী পোষাক বিক্রির আরেক প্রতিষ্ঠান ‘লাকি গার্মেন্স’ এর কর্ণধার আলমগীর হোসেন বলেন, অন্যান্য বছর প্রতিদিন যে হারে বিক্রি করতাম, তুলনামূলক এবছর অনেকটা কম। মানুষের হাতে টাকা পয়সা তেমন নেই বললেই চলে। যে খরিদ্দারই দোকানে আসে, সেই বলে হাতের অবস্থা ভালো না। পোষাক কিনবো কিভাবে? এমন হতাশার কথা শুনছি খরিদ্দারদের মুখ থেকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক তৈরী পোষাক ব্যবসায়ী বলেন, বছরের অন্য সময় সারাদিন অনেকটা বসেই সময় পার করতে হয়। সেখানে ঈদের বাজারে প্রতিদিন ভালো বেচাকেনা হলে মন ভালো থাকে। কিন্তু প্রায় ২২/২৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করার পরও যদি দিন শেষে ৪/৫ হাজার টাকা না থাকে তাহলে ওই দোকানদার বাঁচবে কি করে? দেশের অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব সারাদেশেই পড়ছে।
গোয়ালন্দ কাপড় বাজার ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী কাঞ্চন বলেন, গোয়ালন্দের মানুষ অনেকটা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। ফসলাদী ভালো না হওয়ায় এবং অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কারো হাতে যেমন টাকা পয়সা নেই, মনে আনন্দ নেই।