॥মোক্তার হোসেন॥ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ(সরকারী মাধ্যমিক-৩) পাংশা জর্জ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সরকারীকরণের প্রজ্ঞাপন জারী করেছে।
গত ২১শে মে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব লুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে পাংশা জর্জ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সরকারীকরণের তথ্য জানা গেছে।
জানাযায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৪টি বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সরকারীকরণের প্রজ্ঞাপন জারী করেছে। প্রজ্ঞাপনের তালিকায় পাংশা জর্জ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ৩নম্বরে রয়েছে। এরআগে বেসরকারী মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সংক্রান্ত ৭/৯/২০১৭ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয় অনাপত্তি প্রজ্ঞাপন জারী করে। এর প্রেক্ষিতে দলিল সম্পাদন সম্পন্ন করা হয়।
পাংশা জর্জ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় সরকারীকরণ হওয়ার প্রজ্ঞাপন জারীর তথ্য জানার পর গতকাল ২২শে মে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে আনন্দ-উৎসাহ জেগে ওঠে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা জরুরীভাবে বৈঠকে মিলিত হন। পরস্পর নিজেরা আনন্দ উপভোগ করেন তারা। সেইসাথে খুশির খবরটি শুভাকাঙ্খীদের মাঝে ছড়িয়ে দেন।
পাংশা জর্জ পাইলট মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদা খাতুনসহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাজবাড়ী-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিমকে অভিনন্দন জানান।
তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাতে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে পারেন এবং এমপি জিল্লুল হাকিম যাতে পুনরায় এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে পারেন তার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত ঃ পাংশা জর্জ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার তারিখ ০৩/০১/১৯১৬। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ০১/০১/১৯১৯ সালে বিদ্যালয়টির প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে। ০১/০১/১৯৮২ সালে প্রথম এমপিওভুক্ত হয় এ বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টি কারিগরি শাখার ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষা বছরে প্রথম অনুমোদন লাভ পায়। কারিগরি শাখায় এমপিওভুক্তি হয় ১৬/০৩/১৯৯৮ সালে। শতবছরের ঐতিহ্যবাহি এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম রয়েছে। জেএসসি ও এসএসসিতে সাফল্য রয়েছে। সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন শিক্ষক, অভিভাবক এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। রাজবাড়ী-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তার আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদা খাতুনসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।