Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

খানখানাপুরে স্টেশনে ট্রেন বিরতির দাবীতে বিক্ষোভ॥রেলপথ অবরোধ

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী থেকে ফরিদপুরগামী ‘ফরিদপুর এক্সপ্রেস’ নামক ট্রেন গতকাল ৮ই জানুয়ারী সকালে সদর উপজেলার খানখানাপুর রেলস্টেশনে বিরতির দাবীতে স্থানীয় কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ ও অবরোধ করে। স্থানীয় লোকজন লাল নিশান উড়িয়ে, রেললাইনে গাছের গুড়ি ফেলে, শুইয়ে বিক্ষোভ করে।
স্টেশনে ট্রেন থামানো বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে বিক্ষোভকারীরা রেললাইনের উপর গাছের গুড়ি ফেলে, শুইয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় স্টেশনে চত্বরে চলতে থাকে বিক্ষোভ সমাবেশ।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও খানখানাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম লাল, সদস্য-সচিব ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন মোল্যা, ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজিমদ্দিন মিয়া, মাজেদুর রহমান, হারুন-অর রশিদ, সাইদুর রহমান ও কুদ্দুস মোল্যা প্রমূখ।
ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লাল বলেন, খানখানাপুর রাজবাড়ীর মধ্যে বানিজ্যকেন্দ্র হিসেবে প্রসদ্ধি। এখান থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসা যাওয়া করে। কিন্তু এখানে যাত্রা বিরতি দেয়না। দুই বছর ধরে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর মাধ্যমে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছি। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আলোচনা করা হয়। আমাদেরকে আশ্বাস দেওয়া হয় জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ট্রেন থামানো শুরু হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত শনিবার প্রথম সপ্তাহ পার হওয়ার পরও চালু না হওয়ায় বাধ্য হয়ে সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে আজ আন্দোলনে নেমেছি।
ট্রেনটির পরিচালক তৌফিকুর রহমান জানান, সকাল সোয়া আটটার দিকে ট্রেনটি ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। সাড়ে আটটার দিকে খানখানাপুর স্টেশনে পৌছলে স্থানীয় শত শত মানুষ রেললাইনের উপর দাঁড়িয়ে হাতে লাল কাপড় নিয়ে থামানোর সঙ্কেত দেন। ট্রেনটি সকাল নয়টায় ফরিদপুর পৌছানোর কথা ছিল।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নুরমহল আশরাফী সাড়ে নয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের সাথে একমত প্রকাশ করে আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারীর মধ্যে জেলা প্রশাসকের সাথে পরামর্শ ও যথাযথ নিয়ম অনুসরন করে খানখানাপুর স্টেশনে ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন। পরে অবরোধ কর্মসূচী স্থগিত ঘোষণা করলে ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যায়।