হিমালয় কন্যা নেপালে ডানা মেলতে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিমানসংস্থা রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। আগামী ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা-কাঠমান্ডু-ঢাকা ফ্লাইট।
সপ্তাহে ৩ দিন নতুন প্রজন্মের বোয়িং ৭৩৭-৭০০ উড়োজাহাজ চলাচল করবে রিজেন্টের ষষ্ঠ এই আন্তর্জাতিক রুটে। উড়োজাহাজটিতে ১২টি বিজনেস ক্লাস, ১১৪টি ইকোনমি ক্লাসের আসন ব্যবস্থা রয়েছে।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি শনি, সোম ও বুধবার বিকেল ৩ টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে পৌঁছাবে। কাঠমান্ডু থেকে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় এসে পৌঁছাবে।
সব ধরনের করসহ ঢাকা-কাঠমান্ডু রিটার্ন ১৭ হাজার ৫১২ টাকা এবং ওয়ানওয়ে ১২ হাজার ৪৯৩ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দেশব্যাপী সকল সেলস সেন্টার ও ট্রাভেল এজেন্ট থেকে এই টিকেট পাওয়া যাবে। বিস্তারিত জানতে +৮৮-০২-৫৫৬৬৯৯১১ হটলাইন কিংবা রিজেন্টের ওয়েবসাইট (www.flyregent.com) ও ফেসবুকে (flyregent) যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নতুন রুটের প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা (সিইও) লে. জেনারেল (অ:) এম. ফজলে আকবর জানান, গত বছরের এপ্রিলে প্রলয়ংকরী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ নেপালের পর্যটন আবারও মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির অর্ধেকের বেশি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে দেশটি। বাড়ানো হয়েছে পর্যটন সুবিধা। তাই আবারো ভিড় বাড়তে শুরু করেছে বিশ্ব পর্যটকদের। যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি পর্যটক। পাশাপাশি ঢাকাকে ট্রানজিট করে মালয়েশিয়া প্রবাসী বিপুল সংখ্যক নেপালী শ্রমশক্তি পরিবহনের সুযোগও রয়েছে। এই দুটো সুযোগ কাজে লাগাতেই নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুকে নতুন গন্তব্য করেছে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ।
২০১০ সালের ১০ নভেম্বর যাত্রা শুরু করা রিজেন্ট এয়ারওয়েজের আন্তর্জাতিক গন্তব্যের সূচনা হয় ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই কুয়ালালামপুর ফ্লাইটের মাধ্যমে। বর্তমানে ঢাকা থেকে মাসকাট, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, কলকাতা এবং চট্টগ্রাম থেকে ব্যাংকক ও কলকাতা রুটে চলাচল করছে রিজেন্ট। অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে। সাশ্রয়ী ভাড়া, উন্নত সুবিধা আর আন্তরিক যাত্রীসেবার কারণে আন্তর্জাতিক রুটে বেশ সুনাম রয়েছে রিজেন্টের।
বর্তমানে রিজেন্ট বহরে ৩ বোয়িং ও দুটি ড্যাশ ৮-কিউ উড়োজাহাজ রয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে আরও একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত হচ্ছে।