॥কবির হোসেন॥ “আমরা হব জয়ী, আমরা দূর্বার, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইসিটি হবে হাতিয়ার”-এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সরকারের আইসিটি ডিভিশনের আয়োজনে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় গতকাল ৮ই জানুয়ারী বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দানে দিনব্যাপী লার্নিং এন্ড আর্নিং মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ১১টায় মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী।
জেলা প্রশাসক জিনাত আরার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মোঃ আজাদ রহমান এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোঃ আশরাফ হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মানোয়ার হোসেন মোল্লা। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার পার্থ প্রতিম দাস।
এ সময় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ শিক্ষক মন্ডলী ও শিক্ষার্থীগণ এবং আইসিটি সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী আইসিটি শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রশংসা করে বলেন, সরকার প্রতিটি স্কুলে কম্পিউটার দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদেরকে ব্যাচ করে কম্পিউটার শেখানোর জন্য তিনি শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান। সমাজের বেকারত্ব দূরীকরণে আইসিটি শিক্ষা হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক জিনাত আরা বলেন, দেশের নারীসহ যুবশক্তিকে আইসিটি শিক্ষা দিয়ে তাদেরকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের দেশের যে জনসংখ্যা রয়েছে তাকে সম্পদে রুপান্তরিত করতে হবে। প্রতিবেশী দেশের মতো আইসিটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজী ভাষাতেও দক্ষতা অর্জন করতে হবে, নইলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। জন্ম, মৃত্যু, বিয়েসহ সকল কিছুই এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে হচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের আইসিটির অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রশংসা করেন।
মেলায় কুইজ প্রতিযোগিতা এবং লার্নিং ও আর্নিং বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। কুইজ প্রতিযোগিতায় খোন্দকার আরাফাত হোসেন মুন প্রথম স্থান অধিকার করে এবং দক্ষ সংগঠক ও আইকন হিসেবে খোন্দকার সাদমান সাকিব রাফিকে ল্যাপটপ প্রদান করা হয়। এছাড়াও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মীর ছেলে ও হতদরিদ্র পিতৃহীন এক ছাত্রকে ল্যাপটপ প্রদান করা হয়।