সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু মিতুকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন আপনি

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৮

॥মাহ্ফুজুর রহমান॥ সর্বদাই হাসি-খুশি লাবনী আক্তার মিতু(৭)। হাসি মাখা মুখটি দেখে বোঝার উপায় নেই সে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত। তার হাসি মুখ ম্লান করে দিয়েছে লিউকিমিয়া(অস্থিমজ্জার) ক্যান্সার অসুখে। তার অসুস্থতায় দরিদ্র পরিবারটিতে নেমে এসেছে কালো মেঘের ছায়া।
মিতু রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালক নূর মোহাম্মদ গাজীর মেয়ে এবং রামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর ছাত্রী। চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে গিয়ে এরই মধ্যে নিঃস্ব হয়ে গেছেন তার ভ্যান চালক বাবা। নিজের ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্রের পাশাপাশি বসতভিটার ৭শতাংশ জমির মধ্যে ৩শতাংশ বিক্রি করে চালিয়েছেন মেয়ের চিকিৎসা।
অপারেশন করে শিশু মিতুকে বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন কমপক্ষে ৪/৫ লক্ষ টাকা, যা মিতুর দরিদ্র বাবার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। পরিবারের সবার চোখের সামনে ধীরে ধীরে শেষ পরিণতি মৃত্যুর দিকে এগুচ্ছে মেধাবী শিশু মিতু। যা দেখে গোপনে চোখের পানি ফেলছেন তার মা জহুরা বেগম।
ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু মিতু জানায়, আমি আবার স্কুলে যেতে চাই, বাঁচতে চাই, বন্ধুদের সাথে খেলতে চাই, বাবা আমি কবে ভালো হবো? এমন প্রশ্ন জুড়ে দেয় সারাক্ষণ। তাহলে আমি কি বাঁচবো না! এমন মর্মস্পর্শী ভাষাতে সবার কাছে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে ৭বছরের শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত মিতু।
মিতুর বাবা নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, গত ১বছর আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানা যায় মিতুর লিউকিমিয়া(অস্থিমজ্জার) ক্যান্সার হয়েছে। তারপর থেকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালসহ রাজবাড়ী ও ফরিদপুর হাসপাতালে নেয়া হয়। অপারেশন ছাড়া তাকে সুস্থ্য করা সম্ভব নয়। আমি গরীব মানুষ। এত টাকা কই পাবো? আমি আমার মেয়েকে বাঁচাতে চাই। তাকে হারাতে চাই না। এখন শুধু টাকাই পারে আমার মেয়ের জীবন বাঁচাতে।
মিতুর মা জহুরা বেগম জানান, এক বছর আগে ডাক্তার দেখানো হয় মিতুর। গত ৩মাস ধরে মিতু তেমন কিছু খাচ্ছে না। টাকার অভাবে চিকিৎসা না করাতে পেরে দিন দিন মিতুর পেট ও গলার বাম পাশে অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাচ্ছে।
রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য ও শহীদওহাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ ভুইয়া এবং ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন ফরিদ বলেন, মেধাবী এ শিশুটি টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে এমনটি হতে পারে না। অপারেশন বাবদ ৪/৫ লক্ষ টাকা সংগ্রহে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে তারা সকলের প্রতি আহ্বান জানান। সাহায্য পাঠাতে মিতুর বাবা নূর মোহাম্মদের মোবাইল এবং বিকাশ নম্বর ঃ ০১৯৬০-৬৩৩৭২৬।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!