॥মাতৃকণ্ঠ ডেস্ক॥ গাছের গোড়ায় যদি পচন ধরে তাহলে যতই পানি ঢালা হোক না কেন গাছ বাড়বেনা, তেমনি প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে প্রশ্ন তৈরির কারখানা বিজি প্রেস যদি কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে আবিষ্ট না হয় সরকারের গৃহীত অন্যান্য পদক্ষেপ ফলপ্রসূ হবেনা। তাই বিজি প্রেসে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে সরকার প্রশ্ন ফাঁস চিরতরে বন্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের পেছনে সম্ভাব্য ১২টি কারণ চিহ্নিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব ‘ঝুঁকি’ এড়িয়ে প্রশ্ন ফাঁস রোধ করতে ১৫টি উদ্যোগও গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়। গৃহীত পদক্ষেপসমূহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে বিজি প্রেসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ। নিরাপত্তাকর্মী বাড়ানোর পাশাপাশি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার সংখ্যা বাড়িয়ে পুরো এলাকাকে সার্বক্ষণিক তদারকির আওতায় আনা হয়েছে। বিজি প্রেসে বিভিন্ন ধাপে ২৫০ জন ব্যক্তি প্রশ্ন দেখার সুযোগ পান। তাদের ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি করা ছাড়াও তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ,বন্ধু-বান্ধবদের গতিবিধি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের কর্মকা- পর্যবেক্ষণ করছে নিরাপত্তা বাহিনী। ইতোমধ্যেই বিজি প্রেসের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৬০ জন সদস্য নিয়ে একটি নিরাপত্তা ইউনিট গঠন করা হয়েছে। নিরাপত্তা ইউনিট সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেখভাল করলেও ইউনিটের সদস্যরা যাতে দীর্ঘ মেয়াদে সেখানে দায়িত্ব পালনের সুযোগ না পায়, তাও মাথায় রেখেছে সরকার।
এছাড়া ছাপানোর কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে। প্রেসে প্রবেশ এবং বের হওয়ার সময় তাদের পুরো শরীর তল্লাশি করে প্রবেশ করানো হয়। বিজি প্রেসের নিরাপত্তায় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে সরকার প্রশ্ন ফাঁস রোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখার ফলে আশা করা যায়, প্রশ্ন ফাঁসের কালিমা থেকে মুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।