বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

আজ থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু॥প্রশ্ন ফাঁসরোধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

  • আপডেট সময় সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১৮

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে আজ ২রা এপ্রিল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
এবার তত্ত্বীয় পরীক্ষা আজ ২রা এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১৩ই মে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৪ মে থেকে শুরু হয়ে ২৩শে মে শেষ হবে।
চলতি বছর দেশের ৮হাজার ৯৪৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩,১১,৪৫৭জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিবে। এরমধ্যে ৬,৯২,৬৭৩০ জন ছেলে এবং ৬,১৮,৭২৭ জন মেয়ে।
২০১৭ সালে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১১,৮৩,৬৮৬ জন এবং ২০১৮ সালে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১৩,১১,৪৫৭ জন। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১,২৭,৭৭১ জন, বৃদ্ধির হার ১০.৭৯%। মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৭৯টি এবং মোট প্রন্দ্র বেড়েছে ৪৪টি।
রাজবাড়ী জেলার চিত্র ঃ এ বছর রাজবাড়ী জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ১০হাজার ৩২জন। তার মধ্যে ৯হাজার ১৫১জন এইচএসসি, ১০৫জন এইচএসসি(ভোকেশনাল), ১হাজার ১৫৮জন এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) এবং ৬১৮জন আলিম পরীক্ষার্থী। জেলার মোট ১২টি কেন্দ্রে এইচএসসি, ১টি কেন্দ্রে ভোকেশনাল, ৫টি কেন্দ্রে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও ৩টি কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু, স্বাভাবিক ও নকলমুক্ত পরিবেশে এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
অপরদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে সারাদেশের এইচএসসি ও সমমানের সকল পরীক্ষা তদারকির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বারে সেট কোড ব্যবহারের নির্দেশনার এসএমএস যাওয়ার পর প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলবেন। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতিত অন্য কেহ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
সুত্র জানায়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব(শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এছাড়া বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন(অটিস্টিক এবং ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রালপালসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০মিনিট অতিরিক্ত সময় এবং পরীক্ষার কক্ষে তার অভিভাবক/শিক্ষক/সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
নিñিদ্র নিরাপত্তায় বিজি প্রেস ঃ এদিকে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে প্রশ্ন তৈরির কারখানা বিজি প্রেসে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে সরকার প্রশ্ন ফাঁস চিরতরে বন্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের পেছনে সম্ভাব্য ১২টি কারণ চিহ্নিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব ‘ঝুঁকি’ এড়িয়ে প্রশ্ন ফাঁস রোধ করতে ১৫টি উদ্যোগও গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়। গৃহীত পদক্ষেপসমূহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে বিজি প্রেসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ। নিরাপত্তাকর্মী বাড়ানোর পাশাপাশি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার সংখ্যা বাড়িয়ে পুরো এলাকাকে সার্বক্ষণিক তদারকির আওতায় আনা হয়েছে। বিজি প্রেসে বিভিন্ন ধাপে ২৫০ জন ব্যক্তি প্রশ্ন দেখার সুযোগ পান। তাদের ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি করা ছাড়াও তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ,বন্ধু-বান্ধবদের গতিবিধি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
ইতোমধ্যেই বিজি প্রেসের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৬০জন সদস্য নিয়ে একটি নিরাপত্তা ইউনিট গঠন করা হয়েছে। নিরাপত্তা ইউনিট সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেখভাল করলেও ইউনিটের সদস্যরা যাতে দীর্ঘ মেয়াদে সেখানে দায়িত্ব পালনের সুযোগ না পায়, তাও মাথায় রেখেছে সরকার।
এছাড়া ছাপানোর কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে। প্রেসে প্রবেশ এবং বের হওয়ার সময় তাদের পুরো শরীর তল্লাশী করে প্রবেশ করানো হয়। বিজি প্রেসের নিরাপত্তায় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে সরকার প্রশ্ন ফাঁস রোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখার ফলে আশা করা যায়, প্রশ্ন ফাঁসের কালিমা থেকে মুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!