যে গাছের গোড়াতেই পচন ধরে সে গাছে ফুল ও ফল ফলে না, তেমনি আজকের প্রজন্ম ফাঁসকৃত প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে ভাল রেজাল্ট করে পার পেয়ে গেলেও ভবিষ্যতে যে দেশের কোন উপকারে আসবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য তারা শুধু বোঝাই নয়, মারাত্মক হুমকি স্বরূপ।
নিউটনের গতির তিন নং সূত্রানুসারে প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। আর প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানো না গেলে এর প্রতিক্রিয়া সমান নয়, হবে আরো ভয়াবহ ও ভয়ংকর। সমাজে প্রশ্ন ফাঁসের ভয়াবহতা এখনই উপলব্ধি করা না গেলেও অদূর ভবিষ্যতে হাড়ে হাড়ে আমরা টের পাবো এর ফলাফল। কারণ ফাঁসকৃত প্রশ্নে ভালো রেজাল্ট করা শিক্ষার্থীরাই হবে ভবিষ্যতের চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, ব্যাংকার কিংবা সরকারি কর্মজীবী। শিক্ষাজীবনে যারা ফাঁসকৃত প্রশ্ন পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে তারা কি পারবে ভবিষ্যতে তাদের পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথ ভাবে পালন করতে? যারা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়েছে তারা কি করে গুরুত্বপূর্ণ পেশায় সততার পরিচয় দেবে?
একবার ভেবে দেখুন তো যে নিজে সব পরীক্ষার প্রশ্ন আগে থেকে পেয়ে চিকিৎসক হবে, সে কিভাবে একজন মৃত্যুপথযাত্রী রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দেবে? কি করে সঠিক বিদ্যা ছাড়া একজন প্রকৌশলী তৈরী করবে নির্ভুল স্থাপনা? ভেবে দেখুন এরকম যদি হয় ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের অবস্থা তাহলে আপনি কতটা নিরাপদ?
শুধু ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে বাঁচাতে নয়, স্বার্থপর দৃষ্টিকোণ থেকে নিজেকে বাঁচাতে হলেও আমাদেরকে রুখে দিতে হবে প্রশ্ন ফাঁসের এই ভয়াল চর্চাকে।
“ভবিষ্যৎ প্রজন্ম থাকুক নিরাপদ।”