বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৩ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

মহান স্বাধীনতা উপলক্ষে রাজবাড়ীতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৮ মার্চ, ২০১৮

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গত ২৬শে মার্চ দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের বাসভবনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এবং সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী(কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ) ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম-সেবা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মোঃ আমজাদ হোসেন মন্টু এবং সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুদ্ধকালীন মিলিশিয়া বাহিনীর কমান্ডার মহসীন উদ্দিন বতু, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ কামরুল হাসান লালী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ আহম্মেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল হাসেম বাকাউল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ নিজাম মন্টু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় জেলার যুদ্ধকালীন কমান্ডারগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যগণ, জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার(ভূমি), সহকারী কমিশনারগণ, অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিম তার বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩০লক্ষ শহীদ ও ২লক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা-বোনসহ সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আমরা যারা ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজেদের জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছিলাম তারা সকলেই সেদিন বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। অনেকেই নিজেদের জীবন দিয়েছিলেন। আজকে যে যত কথাই বলুক না কেন আমরা দেশের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধারা একবাক্যে স্বীকার করি বঙ্গবন্ধুই আমাদের নেতা। তার ডাকেই আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। মেজর জিয়া ক্ষমতায় আসার পর একবার রেসকোর্স ময়দানে নিজেকে জাহির করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের গুণগান করে তত্ত্ব দিলেন যে, তিনি ২৭শে মার্চ ড্রামের উপর দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু কোন মুক্তিযোদ্ধাই সেদিন তার সেই জাহিরী তত্ত্ব বিশ্বাস করেনি। জিয়া ও তার অনুসারীরা সেদিন অবুঝ শিশুদের মত মনে করেছিল স্বাধীনতার ডাক দিলেই একটি দেশ স্বাধীন হয়ে যায়। তাহলে যে কেউ যে কোন সময় স্বাধীনতার ডাক দিলেই তো সে অঞ্চল স্বাধীন হয়ে যেত। আসলে ব্যাপারটি এত সহজ নয়। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণার পূর্বে প্রথমে দেশের সকল মানুষের বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করেছিলেন। তারপর তার সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে স্বাধীনতার জন্য মাঠ প্রস্তুত করেছিলেন। তারপর যখন তিনি বুঝলেন এখন স্বাধীনতার সংগ্রামের জন্য সকল মানুষ প্রস্তুত তখন তিনি ৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণাসহ সকল দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। এরপর ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। যার ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আজও বেঁচে আছি। সুতরাং যে যাই বলার চেষ্টা করুক না কেন মুক্তিযোদ্ধারা সবসময় তাদের অন্তর থেকে স্বীকার করে বঙ্গবন্ধুই তাদের নেতা আর তার ডাকেই মুক্তিযোদ্ধারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমানে ভাতা যাই পাইনা কেন সেটা আমাদের সবচেয়ে বড় আত্মতৃপ্তির বিষয় নয়। আমাদের সবচেয়ে বড় আত্মতৃপ্তি হচ্ছে আজকে রাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধাদের পরিপূর্ণ সম্মান দিচ্ছে ও মৃত্যুর পর তাদেরকে জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত করে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান করা হচ্ছে। যা বর্তমান সরকারের আগে কোন সরকার করেনি। অথচ বঙ্গবন্ধু শহীদ হওয়ার পর অনেক সরকার গঠিত হয়েছে, কিন্তু কোন সরকারই মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সহায়তা দূরে থাক কখনও পরিপূর্ণ সম্মান পর্যন্ত দেয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদানসহ অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের অল্প পরিমাণে হলেও ভাতা প্রদান করা শুরু করেন। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই মুক্তিযোদ্ধাদের সেই ভাতাকে বাড়িয়ে ১০হাজার টাকায় উন্নীত করেছেন। শুধু ভাতাই নয়, এর পাশাপাশি বছরে মুক্তিযোদ্ধাদের ২টি করে বোনাসও প্রদান করছেন। যেহেতু বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো সেই কারণে তিনি চিন্তা করছেন স্বল্প সময়ের মধ্যেই আরো ৩টি বোনাস প্রদানের। অথচ আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের এক সময় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়েও ক্ষুধা নিবারণের ব্যবস্থা ছিলনা। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সবসময় চিন্তা করেন বলে তিনি আজকে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বচ্ছলভাবে চলার ব্যবস্থা করেছেন। শুধু সেখানেই সীমাবদ্ধ নয়, তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য চাকুরীর কোটাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থাও করেছেন।
তিনি আরো বলেন, দেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্ব আর সততার কারণে। এই সততার জন্য তিনি বিশ্বের মধ্যে ২য় সৎ রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। অথচ আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের ছেঁড়া গেঞ্জি ও ভাঙ্গা সুটকেসের ইতিহাস সকলেরই জানা। তারা যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন নাকি ছেঁড়া গেঞ্জি আর ভাঙ্গা সুটকেস নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই তারা রেকর্ড পরিমাণে দুর্নীতি করে এদেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের কোটি কোটি ডালার পাচারের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় শপিং মলসহ বিভিন্ন ব্যবসায় ইনভেস্ট করে সম্পদের পাহাড় তৈরী করেছেন। তাদের এই দুর্নীতির কথা প্রথমে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ অস্বীকার করলেও পরে তারা সেটি স্বীকার করে। আমি সংসদে তাদের এই সম্পদের তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঠিক তাদের উল্টো। তিনি এদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে দিনরাত কাজ করে দেশের অর্থনীতিকে আজ মজবুত অবস্থায় নিয়ে গিয়েছেন। আজ বিশ্বের সব দেশ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে জানে। সুতরাং আমাদের মুক্তিযোদ্ধাসহ সকলের উচিত মহান স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করা। তবেই দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তর করা সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়াও তিনি সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মহম্মদ আলীসহ যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের সকলকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
সম্মানিত বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বঙ্গবন্ধুসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলেই আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা সেদিন স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা বিষয়টির অপব্যাখ্যা দিয়ে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করেছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আজ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদেরকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে প্রকৃত মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সম্মানের কারণে। এখন দেশের অফিস-আদালতসহ সব জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান প্রদর্শন করা হয়। শুধু সেটাই নয়, তাদের কল্যাণে যা কিছু করা সম্ভব প্রধানমন্ত্রী সব কিছু করছেন। তার কারণে দেশ আজ উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। আমাদের আরো উন্নত হতে হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। তিনি সকল মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করার আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি দেশ থেকে জঙ্গীবাদ, মাদক, সন্ত্রাস নির্মূলে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী মহান স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মরণ করে বলেন, স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার ডাকেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ নিজেদের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন বলেই আমরা আজ বিশ্বের বুকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। সেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বর্তমানে দেশের প্রধান বলেই দেশ আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে প্রকৃত সম্মান প্রদান করা হচ্ছে। শুধু সেটাই নয়, আজ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় তারা যাতে স্বচ্ছল ও সম্মানের সাথে তাদের বাকী জীবন কাটাতে পারে সেই জন্য বিভিন্ন ভাতা, বোনাসসহ তাদের জন্য প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, তাদের সন্তাদের লেখাপড়া, চাকুরীতে বিশেষ কোটা, সরকারী হাসপাতালে বিশেষ চিকিৎসা, তাদের বাড়ী নির্মাণ করে দেয়াসহ সব ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করছে। আজকে আমরাও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান প্রদর্শন করতে পেরে নিজেরা গর্ববোধ করছি।
তিনি আরো বলেন, রাজবাড়ী জেলার অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ আমার কাছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পূর্বের হিসাব সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদন্ত করার দাবী জানিয়েছিলেন। যেহেতু পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি সুতরাং আমি তাদের এই দাবীর প্রেক্ষিতে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে তদন্ত করে একটি রিপোর্ট জামা দিতে বলেছিলাম। তিনি বদলী হয়ে যাওয়ার আগে আমাকে একটি রিপোর্ট দিয়ে গেছেন। যার আলোকে আরো শক্তিশালী একটি তদন্ত কমিটি দিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে অডিট করিয়ে আমি সার্বিক বিষয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে পেশ করব বলে তিনি উল্লেখ করেন। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা উপহার প্রদানসহ মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী সদর উপজেলার দুই শতাধিক যুদ্ধকালীন কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণসহ স্বাধীন যুদ্ধে শহীদ ও পরবর্তী সময়ে মৃত্যুবরণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!