॥রঘুনন্দন সিকদার॥ বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গতকাল ৯ই মার্চ দুপুর ১টার দিকে সেই পাগলী ও তার বাচ্চাটিকে দেখে গেলেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি,বিপিএম-সেবা। এ সময় তিনি বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে আদর করেন এবং পাগলী মা-সহ অন্যান্যদের সাথে কথা বলে খোঁজ-খবর নেন।
তাদেরকে দেখার পর পুলিশ সুপার উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, সঠিক পরিচয় উদঘাটন ও সুব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত তারা পুলিশী পাহারায় থাকবে। তাদের সুচিকিৎসার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাকিব খান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(পাংশা সার্কেল) মোঃ ফজলুল করিম, বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ হাসিনা বেগম, এস.আই কাইসার হামিদ এবং এস.আই নূর মোহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে গতকাল ৯ই মার্চ দৈনিক মাতৃকণ্ঠের প্রথম পাতায় ‘বালিয়াকান্দিতে পাগলীর পুত্র সন্তান প্রসব॥হারিয়ে যাওয়ার আশংকায় পুলিশ পাহারা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এরআগে গত ৮ই মার্চ বিকালে নারুয়া গ্রামের জনৈক ইকামতের স্ত্রী রূপালী বেগম শাবনুর নামের ওই পাগলীকে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে সেখানে সে পুত্র সন্তানটি প্রসব করে। পাগলী নিজেকে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার দিঘীর হাট গ্রামের শাহীনের স্ত্রী বলে জানায়।
পাগলীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা রূপালী বেগম বলেন, সে প্রায় দেড় মাস ধরে নারুয়ার মধুপুর তিন রাস্তার মোড়ের একটি পরিত্যক্ত ঘরে থাকতো। আমার বাড়ীতে প্রায়ই আসতো। পোয়াতী বলে তাকে খেতে দিতাম। খাওয়া-দাওয়া করে সে যেখানে থাকতো সেখানে চলে যেত।