॥আবুল হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে আজ ৩০শে ডিসেম্বর সকালে মাঝ নদীতে কুয়াশার কবলে পড়ে দুই ফেরীর মধ্যে সংঘর্ষে হাসনা হেনা নামের ফেরীর সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফেরীতে থাকা গাড়ির ধাক্কায় ১১/১২জন যাত্রী আহত হন। এরমধ্যে ১জনকে উদ্ধার করে প্রথমে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলেও চিকিৎসকরা তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় জানায়, ঘন কুয়াশার কারণে গত শুক্রবার রাত ১০টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরী চলাচল বন্ধ ছিল। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে কুয়াশা কম দেখে উভয় ঘাট থেকে ফেরী ছাড়তে শুরু করে। পৌনে ৭টার দিকে পাটুরিয়া থেকে গাড়ি নিয়ে ইউটিলিটি হাসনা হেনা ফেরী দৌলতদিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে মাঝ নদীতে পৌছলে ফের কুয়াশার কবলে পড়ে। বিপরীত দিক থেকে আসা রো-রো ফেরী বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন সামনের কিছুই দেখতে না পেলে দুই ফেরীর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হাসনা হেনার র্যামের সামনের অংশ ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফেরীতে থাকা প্রতিটি গাড়ির সাথে প্রচন্ড জোড়ে ধাক্কা লেগে পণ্যবাহি ট্রাক স্বজোড়ে র্যামে গিয়ে ধাক্কা মারে। এ সময় দাঁড়িয়ে থাকা তৌকির হাওলাদার(২০) নামের এক তরুনের দুইটি পা ভেঙ্গে মারাতœক জখম হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে যায়। আহত তৌকির খুলনার দিঘলিয়া এলাকার মনি হাওলাদারের ছেলে। ফেরীতে থাকা যাত্রী ছাকিব মোল্যা(১৮), আমেনা খাতুন(৪০), লস্কর আলমগীর হোসেন (৪৮)সহ অন্তত ১২জন যাত্রী আহত হন।
হাসনা হেনা ফেরী মাষ্টার একরামুজ্জামান বলেন, তিনি পাটুরিয়া থেকে রওয়ানা করে মাঝ নদীতে পৌছলে হঠাৎ ঘন কুয়াশা ঘিরে ফেলে। দৌলতদিয়া ঘাটের কাছে চ্যানেলে আসামাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা রো-রো ফেরী রুহুল আমীনের সাথে চলন্ত অবস্থায় সংঘর্ষ লাগলে ফেরীর সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়া ফেরীতে থাকা যানবাহনের ধাক্কায় কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক(মেরিন) আব্দুস ছাত্তার বলেন, কুয়াশার কারণে দুটি ফেরীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এছাড়া ফেরীতে থাকা একটি ট্রাকের আঘাতে এক যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। পুলিশ ট্রাকটি আটক করেছে।