॥গোয়ালন্দ প্রতিনিধি॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার জমিদার ব্রীজ এলাকায় দৌলতদিয়া-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের দুর্ঘটনা প্রবন গতিরোধকের দাবীতে গতকাল ১৪ই ডিসেম্বর দুপুরে প্রায় দুই ঘন্টা অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী। পরে স্থানীয় প্রশাসনের আশ^াসে অবরোধ তুলে নেয় এলাকাবাসী।
এলাকার লোকজন জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় কয়েক শত মানুষ মহাসড়কের জমিদার ব্রীজ এলাকায় জমায়েত হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মহাসড়কের ওপর গতিরোধকের দাবীতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় উভয় পাশে শত শত বিভিন্ন যানবাহন আটকা পরে।
সংবাদ পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ও গোয়ালন্দ মোড় আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। অবরোধকারীদের সড়ক থেকে সরাতে চেষ্টা করেও পুলিশ অনেকটা ব্যর্থ হন। পরে গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু নাসার উদ্দিন, সহকারী কমিশনার(ভুমি) শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মির্জা আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত লোকজনকে ২/১দিনের মধ্যে মহাসড়কের ওই স্থানে গতিরোধক স্থাপনের আশ^াস দিলে বেলা সোয়া ১টার দিকে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।
অবরোধকারীরা জানায়, দৌলতদিয়া-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের গোয়ালন্দ জমিদার ব্রীজ এলাকায় মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। গত ১৩ই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এখানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাসের চাপায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ২জন গুরুতর আহত হয়েছে। নিহতরা হলেন ঃ রিক্সা চালক গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের স্বরূপার চক গ্রামের দারোগ আলী খার ছেলে আব্দুস সালাম খাঁ(৪৫) ও গোয়ালন্দ বাজারের ভূষি মালের ব্যবসায়ী একই গ্রামের মৃত জুড়ান শেখের ছেলে মোঃ নাজিম উদ্দিন শেখ(৫০)। এছাড়া আহত দুই জন হলো ঃ রিক্সা যাত্রী মোসলেম খা(৪৮) ও রাবেয়া খাতুন। তারা জানান, মহাসড়কের এ স্থানে চার রাস্তার মোড় রয়েছে। এছাড়া এলাকায় রয়েছে একটি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বিদ্যালয়। কিন্তু এই স্থানে কোন গতিরোধক না থাকায় মহাসড়কের এ অংশ দিয়ে বেপরোয়া গতিকে যানবাহন চলাচল করে। এতে চার রাস্তা দিয়ে মহাসড়কে যানবাহন ওঠানামার সময় মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে।