॥স্টাফ রিপোর্টার॥ আহলাদীপুর-রাজবাড়ী-পাংশা-কুমারখালী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পার্শ্বস্থ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মালিকানাধীন গাছ অবৈধভাবে কেটে নেয়ার ঘটনায় সওজ’র পক্ষ থেকে রাজবাড়ী জেলার কালুখালী ও পাংশা থানায় পৃথক দুইটি জিডি করা হয়েছে। গত ২০শে নভেম্বর রাজবাড়ী সড়ক উপ-বিভাগ(সওজ)’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আশিকুল ইসলাম এই জিডি করেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আহলাদীপুর-রাজবাড়ী-পাংশা-কুমারখালী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক(আর-৭১০) সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সওজ’র মালিকানাধীন বৃক্ষসমূহ অপসারণের জন্য প্রধান বৃক্ষপালনবিদ-এর কার্যালয়, ঢাকা থেকে দরপত্রের মাধ্যমে বৃক্ষসমূহ অপসারণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
অপরদিকে বন বিভাগ কর্তৃক রোপিত বৃক্ষসমূহ অপসারণের জন্য বন বিভাগ কর্তৃক দরপত্রের মাধ্যমে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে শুধুমাত্র বনবিভাগ কর্তৃক রোপিত বৃক্ষসমূহ কর্তনের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু বনবিভাগ কর্তৃক রোপিত বৃক্ষ কর্তনকালে অবৈধভাবে সওজ’র মালিকানাধীন বৃক্ষ সমূহও কর্তন করা হচ্ছে। সওজ’র সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলী কর্তৃক বারংবার বাধা প্রদান সত্ত্বেও সওজ’র মালিকানাধীন বৃক্ষসমূহ অবৈধভাবে কর্তন অব্যাহত রয়েছে। গত ২০শে নভেম্বর সওজ’র মালিকানাধীন বৃক্ষসমূহ অবৈধভাবে কর্তনের সময় লুৎফর রহমান, পিতা-আব্দুল খালেক, গ্রাম-বাগজাপা, কালুখালী, রাজবাড়ীকে নিবৃত করা হয়েছে।
এছাড়াও স্থানীয়রা জানায়, উক্ত লুৎফর রহমান, রাব্বী, উজ্জল ও বিপুলসহ সংঘবদ্ধ একটি দুর্বৃত্ত চক্র প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় আঞ্চলিক মহাসড়কের মোহনপুর বাজার এলাকা থেকে সড়কের পাংশা কলেজ মোড় পর্যন্ত এলাকা থেকে কয়েক লক্ষ টাকার সরকারী বাবলা ও কড়াইসহ বিভিন্ন প্রজাতির বহু গাছ অবৈধভাবে কর্তন করে নিয়ে গেছে।
সড়কের পার্শ্বে থাকা সরকারী রক্ষায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজবাড়ী সড়ক উপ-বিভাগ(সওজ)’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আশিকুল ইসলাম কালুখালী ও পাংশা থানায় পৃথক জিডি করেছে। তবে এ খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ সংঘবদ্ধ বৃক্ষদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের খবর পাওয়া যায়নি এবং কেটে নেওয়া কোন গাছ উদ্ধার হয়নি।