॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা গতকাল ২৭শে সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় কমিটির সভাপতি জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আমিনুল হকের সভাপতিত্বে জেলা জজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক, জেলা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এডঃ গণেশ নারায়ন চৌধুরী, সম্পাদক এডঃ এটিএম মোস্তফা মিঠু, পিপি এডঃ উজির আলী শেখ, জিপি এডঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল হামিদ খান, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মোঃ জহুরুল হক, সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাহার হোসেন তকদীর, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি মোঃ নেফাজ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনা করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সহকারী জজ ইসরাত জাহান।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম মাকসুদা পারভীন, যুগ্ম জেলা জজ(২য়) মোঃ আমিনুল হক, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আরিফুজ্জামান, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলাম ও জেল সুপার মোঃ আনোয়ারুল করিমসহ কমিটির সদস্যগণ ও পর্যবেক্ষক সদস্যগণ এবং আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সদর উপজেলার মিজানপুর ও রামকান্তপুর, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতি জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আমিনুল হক বলেন, বর্তমান সরকার কর্তৃক সারা দেশে লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করার উদ্দেশ্য হচ্ছে এদেশের তৃণমূল পর্যায়ের অসহায় দুঃস্থ মানুষের মধ্যে আইনী সহায়তা প্রদান করা। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশের গরীব-দুঃখী অসহায় মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার জন্য কাজ করার আহবান জানানোসহ এর প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে অবগত আছেন। জেলার গরীব-দুঃখী অসহায় মানুষের মধ্যে যারা আইনী সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে লিগ্যাল এইড অফিসে আবেদন করবেন তাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে লিগ্যাল এইডের আইনজীবী ছাড়া অন্য কোন আইনজীবী নিয়োগ করা যাবে না। যারা কারাগার থেকে লিগ্যাল এইডে আবেদন করবে তাদের ব্যাপারে জেল সুপারকে আলাদা রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করতে হবে। যাতে তারা লিগ্যাল এইড আইনজীবী ছাড়া তাদের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে অন্য কোন আইনজীবী নিয়োগ করলে তাদেরকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।
সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বক্তব্যের প্রশংসা করে তিনি আরো বলেন, প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা ভিলেজ কোর্ট নামে আদালত পরিচালনা করেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় একটি কাজ। এর পাশাপাশি তারা যদি তৃণমূল পর্যায়ের গরীব-দুঃখী সাধারণ মানুষকে সরকারের লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের মাধ্যমে বিনামূল্যে আইনী সহায়তা পাওয়া যায় এই বিষয়টি প্রচার করে তাহলে দেশের অনেক গরীব-দুঃখী আইনী সহায়তা বঞ্চিত মানুষ আইনী সহায়তা পাবে।
তিনি আরো বলেন, আমি রাজবাড়ীতে ৭মাস আগে যোগদানের পর থেকে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের আইনী অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে লিগ্যাল এইড নিয়ে কাজ করছি। এই কাজকে যাতে আরো তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে সকলকে সাথে নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। উপজেলা চেয়ারম্যানদের পরামর্শ মোতাবেক লিগ্যাল এইড কমিটির মিটিং পরবর্তীতে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে করা হবে, যাতে লিগ্যাল এইড কি এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও তিনি বর্তমানে যে সব উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করা হয়নি, সেসব উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের দ্রুততম সময়ে কমিটি করার জন্য সংশ্লি¬ষ্টদের আহ্বান জানান।