শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৮ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

নিশি রাতে ভুতের সাথে

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

# এডঃ লিয়াকত আলী বাবু  # ঠাৎ পা পিছলে পড়তে পড়তে দাঁড়িয়ে যায় আকবর আলী। ভয়ানক পিচ্ছিল রাস্তা। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের বেগটাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভীষণ অন্ধকার রাত। টর্চলাইটের চার্জও শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য লাল সিগন্যাল দিচ্ছে। আকাশে বিদ্যুৎ চমকানোর আলোতে কোনমতে পথ চলছে আকবর আলী। এই আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে আসলে বাড়ীর বাইরেই আসা উচিত না। এই তাস খেলাটাই যেন জীবনের কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে আকবরের। আকবর আলী একটু দ্রুত পা চালায় বাড়ীর পথে। কাঁচা এটেল মাটির রাস্তা। একটু ভিজলেই পিচ্ছিল হয়ে যায়। ঘড়িটা অনেক আগেই রাত দু’টোর কাঁটা পার করে ফেলেছে। একেই বলে ভয়ানক দুর্যোগপূর্ণ ঘোর নিশি রাত। এবার পথের বাঁকটা কিছুটা বাম দিকে মোড় নিয়ে কাঁশিনাথপুরের পালপাড়ার বাঁশঝাড়ের মধ্যে ঢুকে গেছে। এখন আর বিদ্যুৎ চমকানোর আলোটা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। কিছুটা অনুমানে পথ চলতে হচ্ছে। সরাৎ সরাৎ শব্দে দু’একটা খেঁকশিয়াল রাস্তার এপার-ওপার করছে। এই রাস্তাটায় সন্ধ্যার পর থেকেই লোক চলাচল কমে আসে। আর রাত নয়টা-দশটার পরে আকবর আলীর মতো মহাবিপদে না পড়লে এ পথে কেউই পা বাড়ায় না। এ রাস্তাটায় নাকি বেশ বড় ধরনের দোষের ভাব আছে। ভয়ানক দোষের ভাব। অনেকেই বলে এটা নাকি ভুত-প্রেত চলাচলের প্রধান পথ। ঘোর অমাবশ্যায় এ এলাকার সব ভুত-প্রেত এ পথ দিয়েই নাকি চলাচল করে থাকে। আবার অনেকে বলে এই কাঁশিনাথপুর পালপাড়ার বাম পাশের মোড়ের জটানো শ্যাওড়া গাছটায় ভুত-প্রেতের একটা স্থায়ী আস্তানাও নাকি আছে। পথের উত্তর পাশ সংলগ্ন ঠিক কালীবাড়ী সোজা চন্দনা নদীর পাড়েই আবার শ্মশান ঘাট। শ্মশান ঘাটের ভয়টাতো একেবারে চিরন্তন সত্য। যদিও ভুত-প্রেতের সব কথাই শোনা গল্প। তারপরও এলাকার সবার মুখে মুখে এমন সব ভুতের গল্পগুলো খুব ভালোভাবেই প্রচলিত আছে। ভুত-প্রেত বলে একটা কিছু আছে এ কথাটা আকবর আলী বিশ্বাস না করলেও রাত-বিরাতে পথ চলতে কিছুটা ভয় পায় সে। গভীর রাতে হঠাৎ কোন শব্দ শুনলে তার গা ছম ছম করে উঠে। শরীরের লোমগুলো সজারুর কাঁটার মতো দাঁড়িয়ে যায়। তার ভাষায়, কোন এক অজানা আশংকায় এটা হয়তো হয়। যেমন চাঁদে মানুষ গেছে এ কথাটা কিছু কাঠ মোল্লা কিছুতেই বিশ্বাস করতে চায় না। কিন্তু চাঁদ থেকে ফিরে এসে নীল আর্মস্ট্রং মুসলমান হয়ে গেছে এ কথাটা খুব আস্থার সাথে জোর গলায় প্রকাশ করে বেড়ায়। ভুতের বিষয়টাও ঠিক তেমনই। ভুত বলে কিছু নাই এটা জোর গলায় প্রকাশ করলেও ভয় আছে এমন পথে ঐ সাহসী লোকগুলোও সাধারণত চলাচল করতে চায় না। আর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বৈদ্যুতিক আলোতে বসে ভুতকে অস্বীকার করা যতটা সহজ, গভীর অন্ধকার রাতে জনমানবহীন কোন ভুতুরে জঙ্গলে গিয়ে ভুতকে অস্বীকার করা ততটা সহজ কাজ নয়। ওঁয়াও ওঁয়াও-ওঁয়াও ওঁয়াও!! ছোট বাচ্চার কান্নার শব্দ ভেসে আসছে মনে হয়। আশেপাশেতো কোন বাড়ী-ঘরই নাই। ছোট বাচ্চার কান্নার আওয়াজ আসবে কিভাবে? নাকি শিয়াল কুকুরে কোন বাচ্চা-টাচ্চা নিয়ে এসেছে বাঁেশর ঝাড়ে? আকবর আলী দাঁড়িয়ে পড়ে। দাঁড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই হঠাৎ চার-পাঁচটা বাঁশ কড় কড় শব্দে প্যাঁচ খেতে খেতে আকবর আলীর সামনে রাস্তার উপর শুয়ে পড়েই আবার কড় কড় শব্দে উপরের দিকে উঠে যেতে থাকে। হাতে থাকা প্রায় চার্জহীন টর্চলাইটের হাল্কা আঁধারী আলোতে বাঁশ মোড়ানোর ঘটনা দেখে আকবর আলীর কলিজার মধ্যে ছ্যানাৎ করে চিলিক দিয়ে উঠে। মূহুর্তের মধ্যে শরীরের সবগুলো লোম সজারুর কাঁটার মতো দাঁড়িয়ে যায়। আবারও ওঁয়াও ওঁয়াও শব্দে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ওদিকে বহু দূর থেকে কুকুরের ভয়ার্ত আর্তনাদ ভেসে আসছে। বাঁশঝাড়ের কড়-কড়ানি শব্দটাও যেন ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আকবর আলী ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ বাঁশের ঝাড়ের মধ্য দিয়ে চলার পথটা বেশ লম্বা। আধা কিলোমিটারেরও বেশী হবে। প্রায় মাঝামাঝি পথে এসে ফিরে যাওয়াটাও আবার বোকামী হতে পারে। হঠাৎ আগরবাতি জ্বালানোর গাঢ় ঘ্রাণ ভেসে আসতে থাকে। আগরবাতির ঘ্রাণের মধ্যে সব সময়ই এক ধরনের লাশের ঘ্রাণ মেশানো থাকে। আগরবাতির ঘ্রাণ ভালো না। বড় অমঙ্গলের লক্ষণ এটা। এখন আকবর আলী বাঁশঝাড়ের রাস্তার ঠিক মাঝখানটায় ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। সামনে আগানোর শক্তি নাই পায়ে। শরীরটা পাথরের মতো ভারী বলে মনে হচ্ছে। গাঢ় আতরের ঘ্রাণও পাওয়া যাচ্ছে। নাহ্ এবার আর অশরীরি বিষয়কে একেবারে অবজ্ঞা করা যাচ্ছে না। দেও-দানব বা ভুত-প্রেত বলে কিছু একটা আছেই। আগরবাতি আর আতরের ঘ্রাণ ভালো লক্ষণ না। এগুলোর ঘ্রাণ মানেই লাশের অস্তিত্ব। এবার একেবারে তিন সত্য তওবা। রাতের বেলা আর কোনদিনও এ রাস্তায় পা রাখাবো না। হঠাৎ বাঁশঝাড়ের উপর থেকে কি যেন সরাৎ সরাৎ শব্দে নীচে নেমে আসছে। না আর কিছুতেই দেরী করা যায় না। পিছন দিকে দৌড় দেওয়াই উত্তম। শালার তাস খেলার খেঁতা-পুড়ি। চির জীবনের মতো তাস খেলা বন্ধ। ভয়ে আবার কিছুতেই চিৎকার দেওয়া যাবে না। ভুতের ভয় পেয়ে যারাই চিৎকার দেয় তারাই নাকি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সাত দিনের মধ্যে মারা যায়। কিন্তু দৌড় দেওয়ার সময় পিছন থেকে যদি কেউ জাপটে ধরে? বাতাসের গতিটাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাথে বৃষ্টির গুড়ি। বাঁশের পাতা ঝড়া বৃষ্টির পানি পড়ে আকবর আলী প্রায় আধা ভেজা হয়ে গেছে। না আর সামনে আগানো যাবে না। মনোবল বৃদ্ধি করতে হবে। দোয়া-দরুদ যা মুখস্ত ছিল সবই পড়তে শুরু করে দিল। কিন্তু অজু না থাকাতে দোয়া দরুদ কাজে লাগবে বলে মনে হচ্ছে না। আর তাস খেলা হারাম জেনেও তাস খেলে এসে রাস্তায় ভয় পেয়ে দোয়া-দরুদ পড়লে তা কাজে লাগবে কেন? বরং বিনা অজুতে দোয়া-দরুদ পড়াও পাপের কাজ। কি যে ভয়ানক অবস্থা। সবই যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। কি যে ভালো আর কি যে মন্দ কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না আকবর আলী। ঐ যে আবার আগরবাতি আর আতরের ঘ্রাণ গভীরভাবে ভেসে আসছে। সাথে লাশের গন্ধ। শ্যাওড়া গাছের পিছনের খালের পাড়ে কান্নার আওয়াজ। আকবর আলীর সমস্ত শরীর হিম হয়ে আসতে থাকে। জীবন-মৃত্যুর শেষ সন্ধিক্ষণ। শেষবারের মতো আধো আলোর টর্চলাইটটা জ্বালাতেই চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। শ্যাওড়া গাছটার নীচে একটা লাশ কাফনের সাদা কাপড় দিয়ে খাটিয়ার উপর রাখা। আকবর আলী আরেকবার লাশটার দিকে লাইট মেরে লাশের বিষয়টা নিশ্চিত হয়ে যায়। তারপরই চন্দনা নদীর দিকে ভোঁ দৌড়। তারপর যা ঘটলো তার সবটুকু মনে নেই আকবর আলীর। চন্দনা নদীর পাড় ধরে দৌড় দিতে দেখে শ্মশান থেকে বিশাল মাথাধারী তিনজন লোক হেঁটে রাস্তার উপরের দিকে উঠে আসছে। প্রায় দশ ফুট ব্যাসের মাথা হবে! তিনজনই দুই হাত দিয়ে ঐ বিশাল মাথা ধরে হাঁটছে। তারপর আর কিছু মনে নেই। ধপাস করে রাস্তার উপর পড়ে যায় আকবর আলী। ধপাস করে পড়েই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। যখন জ্ঞান ফেরে তখন ভোরের আজান হচ্ছিল। জ্ঞান ফিরেই ‘আমি কোথায়’ ‘আমি কোথায়’ বলে চিৎকার করে উঠে। ঐ বিশাল মাথাওয়ালা লোক তিনজনই আকবর আলীকে উদ্ধার করে আকবরের বাড়ীতে নিয়ে আসে। ঐ তিনজন ছিল জেলে সম্প্রদায়ের লোক। তারা রাতে চন্দনা নদী থেকে মাছ ধরে বড় সাইজের মাছের ডালি মাথায় করে নিয়ে রাস্তার দিকে উঠছিল। একটু দূর থেকে তাদেরকে দেখে মনে হচ্ছিল বিশাল বিশাল মাথাওয়ালা মানুষ। আকবর আলী যখন মাটিতে পরে গোংড়াতে থাকে তখন ঐ তিনজন জেলে আকবরকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। সাত-সকালেই আকবরের বাড়ী বিশাল জনারণ্যে পরিণত হয়। বাড়ীতে যেন তিল ধারণেরও ঠাঁই নেই। ঘটনা শুনে চেয়ারম্যান সাহেবও চলে এসেছেন। চেয়ারম্যান সাহেব আবার সব ঘটনাতেই তদন্তে বিশ^াসী। শুরু হলো তদন্ত করার পালা। চেয়ারম্যান সাহেব ঘটনা নিজেই তদন্ত করার জন্য আকবর আলী ও স্থানীয় লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হলেন। ঘটনার একটা সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। যাওয়া হলো কালীবাড়ীর পাশের সেই খাল পাড়ের শ্যাওড়া গাছটার নীচে। যেখানে লাশ দেখা গিয়েছিল। হ্যাঁ সেখানে সত্যি সত্যিই লাশটার অস্তিত্ব পাওয়া গেল। সত্যিকার অর্থেই যেন সাদা কাফনে মোড়ানো একটা লাশ। পাঁচ-সাড়ে পাঁচ ফুট লম্বা একজন মানুষের সাইজের একখন্ড কাঠের গুঁড়ি। তার উপরে সাদা রঙের ব্যাঙের ছাতায় এমন ভাবে আচ্ছাদিত হয়ে আছে যা রাতের আধো আলোতে একটা লাশের মতোই মনে হবে। আর কালীবাড়ীর বারান্দায় একজন সাধু বাবাকে পাওয়া গেল যিনি তখনো ধুপ জ্বালিয়ে ধ্যানমগ্ন ছিলেন। ঐ ধুপের ঘ্রাণটাই আগরবাতির ঘ্রাণ বলে মনে হচ্ছিল। আরও জানা গেল যে, ঐ বাঁশের ঝাড়ে বড় একটা হনুমান এসে আশ্রয় নিয়েছে। হনুমানটা মানুষের আওয়াজ পেলেই এক বাঁশ থেকে আরেক বাঁশের উপর লাফ দেওয়ার কারণে সর সর শব্দ হওয়াসহ কিছু বাঁশ নুয়ে পড়ে এবং আবার বাঁশগুলো উপরে উঠে যায়। সবচাইতে অবাক কান্ড হলো ঐ বিশাল বাঁশের ঝোপের মাঝে খেকশিয়ালে বাচ্ছা ফুটিয়েছে। রাতের বেলায় শিয়ালের বাচ্চার উঁ উঁ শব্দের কান্না মানুষের বাচ্চার কান্নার মতোই মনে হয়। তদন্তে একে একে গতরাতের সকল আজগুবি ঘটনাই উদঘাটিত হয়ে গেল। সর্বশেষ ভুত আছে কি-নাই তদন্তে তা উদ্ধার করা না গেলেও গতরাতের ঘটনাগুলো যে ভুতের কান্ড ছিল না তা দিবালোকের মতোই সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল। গতরাতের ঘটনাগুলো ভুতের কান্ড না হলেও আকবর আলী সেই দিন থেকে তাস খেলাতো বাদ দিয়েই দিলো, এমনকি সন্ধ্যার আগেই সুবোধ বালকের মতো বাড়ীতে এসে হাত-মুখ ধুয়ে সোজা ঘরে গিয়ে বসে। কারণ চেয়ারম্যান সাহেব যতো কথাই বলুক না কেন, ঐ দিন বাঁশ ঝাড়ের নীচে বৃষ্টির মধ্যে দু’পশলা গরম বাতাস তার গা ছুঁয়ে গেছে। সাথে উটকো আঁশটে গন্ধ। এর উত্তর কি? ঠান্ডা বাতাসের মধ্যে গরম বাতাস এলো কোত্থেকে? আকবর সেদিন রাতে আরো অনেক কিছুই বুঝে ফেলেছে। ঐ সব ধানাই-পানাই কথার বুঝ দিয়ে অন্ততঃ আকবরকে আর বোঝানো যাবে না। ভুত-প্রেত বলে কিছু নাই, তাই না? তাসের পার্টনাররা তাকে বাড়ী পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার শতভাগ নিশ্চয়তা দিলেও আকবর পার্টনারদের মুখের উপর সোজা ‘না’ শব্দটা ব্যবহার করে দিয়েছে। ন্যাড়া আর কোন দিনও বেল তলায় যাবে না। সর্বশেষ আকবর আলী এখন আকবর মুসল্লী নামে পরিচিত। লেখক ঃ আইনজীবী ও মুক্ত কলামিষ্ট।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!