ভেদাভেদ ভুলে দলীয় নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির ৬জন নেতা। তারা হলেন ঃ জেলা বিএনপির ৩জন যথাক্রমে সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী আহসান হাবিব, রইচ উদ্দিন আহম্মেদ ডিউক ও এ.কে.এম সিরাজুল আলম চৌধুরী এবং ৩জন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খায়রুল আনাম বকুল, মোঃ রেজাউল করিম খান ও আব্দুস সবুর খান উজ্জল।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১০/০৭/২০১৭ইং তারিখে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষিত হয়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর কমিটির অনুমোদন দেন। সংগঠনকে আরো গতিশীল ও চলমান আন্দোলন-সংগ্রামকে বেগবান করতে এই কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি। অতীতের তুলনায় বর্তমান কমিটিতে সাবেক ছাত্রদল নেতাদের বেশী সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। নবগঠিত জেলা কমিটির সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুনসহ সকল নেতৃবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দদেরকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের কাছে গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই এই কারণে যে, অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমান জেলা কমিটিতে সাবেক ছাত্রদল নেতাদের বেশী সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বেশকিছু যোগ্য ছাত্র নেতারা এই কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হলে কমিটি টি আরো দৃষ্টিনন্দন ও অধিক কর্মক্ষম হত। ভবিষ্যতের কমিটিতে এবং উপজেলা ও পৌর কমিটিগুলোতে তাদেরকে স্থান করে দেওয়ার জন্য তারেক রহমানের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। একটি মহল কমিটি ঘোষিত হওয়ার পর থেকে নানা বিরূপ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। একই সঙ্গে তার নোংরা বহিঃপ্রকাশ ঘটছে যা খুবই দুঃখজনক ও বেদনার। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে একজন জাতীয়তাবাদী সৈনিকের ঘাড়ে অনেক বড় দায়িত্ব ও কর্তব্য। সব কমিটিতেই কিছু না কিছু ভুল লোকের অনুপ্রবেশ ঘটে থাকে। বিএনপির মতো জনসমর্থিত একটি দলে নেতৃত্বে প্রতিযোগিতাতো থাকবেই। পদবঞ্চিত নেতারা মনোক্ষুণœ হবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ধৈর্য্যহারা হয়ে কোন কিছু করা দলের জন্য শুভ হবে না। অসন্তোষকে কেন্দ্র করে কোন অন্তঃকলহ করা ঠিক হবে না। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ঘাটতি থেকে থাকলে এক টেবিলে বসে আলোচনার মাধ্যমে তা থেকে উত্তোরণের উপায় খুঁজে বের করা যেতে পারে। দলের এই দুর্দিনে নিজেদের ঐক্য বিনষ্ট হলে আওয়ামী লীগ তাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে। এই দুঃসময়ে দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে গোছাতে না পারলে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে। আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের উপযোগী করে রাজবাড়ীর বিএনপিকে গড়তে হলে ব্যক্তি পর্যায়ে ছাড় দিতে হবে। কার গ্র“পের কতজন কমিটিতে সুযোগ পেল সেটা বড় কথা নয়, সবাই শহীদ জিয়ার আদর্শের উত্তরাধিকার-এটাই বড় কথা। আমাদের ঐক্যর দুর্বলতার কারণে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফসল ঘরে তুলতে পারিনি। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ীর ২টি সংসদীয় আসন পুনরুদ্ধার করতে হলে মেয়াদোত্তীর্ণ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌর কমিটিগুলো পুনর্গঠন করতে হবে। এ জন্য সব অভিমান ভুলে সকলকে এক হতে হবে। এক যুগ ধরে জাতির বুকে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসা আওয়ামী শাসক গোষ্ঠীর অপশাসন থেকে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। আসুন সব ভুলে রাজপথে নামি। সব অপশক্তিকে দূর করে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনর্বহাল করে তবেই আমরা ঘরে ফিরবো -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।