॥ডেস্ক রিপোর্ট॥ যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার দাবি এবং তা কার্যকর করার অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের কিরুদ্ধে ভয়াবহ জাতিগত নিধনের চতুর্থ বার্ষিকীতে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ গতকাল ২৫শে আগস্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা এই সহিংসতার মূল কারণগুলো সমাধানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি এবং অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে যাতে এই ধরণের নৃশংসতার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের এনইউজি এবং অন্যান্য গণতন্ত্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোর অন্তর্ভুক্তিমূলক অগ্রযাত্রা এবং ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন সংস্কারের অঙ্গীকার এবং রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যদের রক্ষায় অন্যান্য পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।
পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, “রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের সকল জনগণের মানবাধিকার ও মানবিক মর্যাদা রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপগুলো প্রয়োজন।”
বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র নিহতদের স্মরণ করে এবং এই নৃশংসতা ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানায় এবং নিহত ও নির্যাতিতদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।
এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র নিপীড়ন এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ন্যায় বিচার এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “সেদিন সামরিক জান্তার নৃশংসতা ও বর্বরতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিবেককে হতবাক করেছিল। আমরা স্বীকার করি যে রোহিঙ্গারা কয়েক দশক ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে এবং এরমধ্যে অনেকে এখনো নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, একই সামরিক নেতারা যারা ১লা ফেব্রুয়ারী অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, তারা সারা দেশে গণতন্ত্রপন্থী কর্মী এবং জাতিগত ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
“আমরা দেখেছি ২০১৭ সালে একই লাইট ইনফ্যান্টি ব্রিগেড রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস নির্যাতন চালিয়েছে, একই বাহিনী জান্তার অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের উপর নির্মম সহিংসতা চালাচ্ছে।”
অভ্যুত্থান এবং সামরিক বাহিনীর পরবর্তী অভিযানের বর্বরতা মিয়ানমার জুড়ে রোহিঙ্গাসহ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য বিপদজনক পরিস্থিতি আরো বাড়িয়ে তুলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বার্মায় মানবিক সহায়তা প্রয়োজন এমন সমস্ত মানুষের কাছে নির্বিঘ্নে মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকারের প্রয়োজনীয়ার কথা তুলে ধরছে।
২০২১ সালের মে মাসে রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটের মোকাবেলায় যৌথ পরিকল্পনা কার্যক্রম শুরু করার সময় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং আশ্রয়দাতা কমিউনিটির সদস্যদের পাশাপাশি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তার জন্য প্রচেষ্টা অব্যহত রাখতে প্রায় ১৫৫ মিলিয়ন ডলার নতুন সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।