রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে মাতৃভাষা দিবস রেজুলেশন উত্থাপন

  • আপডেট সময় রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

॥আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ মহান একুশে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যেন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়, তার জন্যে দেশটির কংগ্রেসে একটি রেজল্যুশন উত্থাপন করেছেন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস ম্যাং।
নিউইর্য়কের ডিস্ট্রিক্ট ৬ থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেট এই আইনপ্রণেতা গত বৃহস্পতিবার ইউএস কংগ্রেসে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালির চেতনা মঞ্চ আয়োজিত জাতিসংঘের সামনে একুশ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেয়া ভিডিও বার্তায় এ প্রস্তাবের কথা জানানো হয়।
২০১৫ সালে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিত সাহার আবেদনে সিনেটর হোজে পেরাল্টা কর্তৃক উত্থপাতি ২১শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে নিউ ইয়র্ক স্টেটে রেজল্যুশন পাশ করে।
নিউ ইয়র্কের কুইন্স থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসওম্যান গ্রেস ম্যাং তার রেজল্যুশনের বিষয়ে ভিডিও বার্তায় বলেছেন, তার লক্ষ্য হচ্ছে আমেরিকার মানুষ যেন দিনটিকে ঠিকভাবে বুঝতে পারে এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালনও করে। গত চারটি কংগ্রেসে তিনি এমন রেজল্যুশন তুলে ধরেছেন।
গ্রেস ম্যাং বলেন, ‘’আরো বেশি আমেরিকানের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং এই দিনটি পালনের তাৎপর্য সম্পর্কে জানা উচিত। আমার রেজল্যুশনটি সেই সচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করবে বলে আশা করছি’।’
তিনি ১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করেন। তার বিবৃতিতে বলেন, ‘ইউনেস্কো সারা পৃথিবীর মানুষের ভাষার অধিকার রক্ষার জন্যে ২১শে ফেব্রুয়ারীকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে এই দিনটির মর্যাদা একটু ভিন্ন।’ তিনি উল্লেখ করেন বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সেদিন ছাত্ররা পাকিস্তনি শাসকদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন করে গড়ে তুলেছিলেন। অনেকে জীবনও দিয়েছেন।
ভিডিও বার্তায় ভবিষ্যতেও তিনি এমন প্রচেষ্টা আরো চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এই কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্যে তিনি মুক্তধারা ফাউন্ডেশনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। এর আগে এই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগেই ২০১৫ সালে নিউ ইয়র্ক স্টেটের আইনসভা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের জন্যে একটি রেজল্যুশন পাস করেছিল। এবারো স্টেট সিনেটর জেসিকা রামোস এর উদ্যোগে যা নবায়ন করা হয়েছে।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিত সাহা জানিয়েছেন, গ্রেস ম্যাং-এর রেজল্যুশন উত্থাপনের ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলা ভাষা ও আমাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আরো একটি ধাপ এগিয়ে গেল।
তিনি বলেন, মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালির চেতনা মঞ্চ ১৯৯২ সাল থেকে জাতিসংঘের সামনে একুশে ফেব্রুয়ারী পালন করে আসছে। এ বছর সেই কর্মসূচির ৩০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। বাংলাদেশের একুশের প্রথম প্রহরের সাথে মিলিয়ে নিউইয়র্ক সময় দুপুর ১টায় জাতিসংঘের সামনে অনুষ্ঠানটি শুরু হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!