॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির আয়োজনে গতকাল ১৭ই জুন বিকেল ৩টায় জেলা ও দায়রা জজের সম্মেলন কক্ষে ‘সরকারী আইনী সেবার মানোন্নয়নে সহায়তা প্রদান’ প্রকল্পের আওতায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রমের মানোন্নয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলমগীর কবির।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সহকারী জজ ইসরাত জাহানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক, যুগ্ম-জেলা জজ(১ম) সৈয়দ মাসফিকুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আরিফুজ্জামান, জেলা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এডঃ গণেশ নারায়ণ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এটিএম মোস্তফা মিঠু, জজ কোর্টের পিপি এডঃ মোঃ উজির আলী শেখ, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মোঃ জহুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার আব্দুল মতিন, চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ.কে.এম সিরাজুল আলম চৌধুরী, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি নেফাজ উদ্দিন ও জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী এডঃ সৈয়দ মনোয়ারুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় সিনিয়র সহকারী জজ(সদর) বেগম কায়ছুন্নাহার সুরমা, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাসিমা তালুকদার মুনমুন, জেল সুপার মোঃ আনোয়ারুল করিম, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ আলীমুর রেজাসহ জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণে ‘সরকারী আইনী সেবার সাফল্য’ এবং ‘বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তির কেন্দ্রস্থল জেলা লিগ্যাল এইড অফিস’ বিষয়ে তথ্যভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন যুগ্ম-জেলা জজ(১ম) সৈয়দ মাসফিকুল ইসলাম এবং জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সহকারী জজ ইসরাত জাহান।
প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলমগীর কবির বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই জেলা প্রতিটি সাধারণ মানুষের কাছে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে যে সরকারী খরচে অসহায় ও দরিদ্রদের আইনী সুবিধা প্রদান করা হয় সেই বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। যাতে তারা সহজে আইনী সুবিধা পেতে পারে। এই কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে উপজেলা কমিটিগুলোকে আরো গতিশীল ভূমিকা পালন করেতে হবে। তার জন্য এর পরবর্তী লিগ্যাল এইড কমিটিতে জেলার ৫টি উপজেলার চেয়ারম্যানদের উপস্থিত থাকার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। জেলার ৪২টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে প্রতি মিটিংয়ে ১০জন করে চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকার ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে। যাতে এই কার্যক্রমের বিষয়টি গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। এই কাজটি করতে পারলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভবিষ্যতে জেলা লিগ্যাল এইড কার্যক্রমকে আরো এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
এছাড়াও সভায় জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির বিভিন্ন মামলা, মামলা সংক্রান্ত বিষয় ও বিভিন্ন আইনী বিষয় পর্যালোচনাসহ প্রশিক্ষণের বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রধান অতিথি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলমগীর কবির প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।