॥স্টাফ রিপোর্টার॥ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গতকাল ২৫শে মার্চ মুক্তি পেয়েছেন। দুই বছরের বেশী সময় কারাবন্দী থাকার পর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়(বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে তিনি মুক্তি লাভ করেন।
এর আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির আদেশ আইজি প্রিজনের কাছে পৌঁছে। সেখান থেকে এটি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারের কাছে যায়। কারা কর্তৃপক্ষ এই আদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যান। এরপর তাঁর মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বেগম খালেদা জিয়ার বয়স ও মানবিক দিক বিবেচনা করে সরকার তাঁকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
মুক্তির আগেই বিএসএমএমইউ হাসপাতাল গেটে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, মুক্তি লাভের পর তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় গিয়ে ওঠেন।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিকে কেন্দ্র করে বিএসএমএমইউ ও গুলশানের বাসভনের সামনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
পৃথক দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত হয়ে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
আইনমন্ত্রী জানান, বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ৬ মাস স্থগিত রেখে তাঁকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়া নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন। তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারী জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। প্রথমে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে থাকলেও পরে চিকিৎসার জন্য তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বিবিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে বয়স ও অসুস্থতার কারণে তাঁকে মুক্তি দিতে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে সরকার মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়।