রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

করোনা সচেতনতায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০

॥মাইদুল ইসলাম প্রধান॥ ভাইরাস জীব না জড় পদার্থ অথবা উভয় পদার্থ এটা নিরুপণ করা কঠিন। কেননা, কখনো জীব কখনো জড় পদার্থ হিসেবে বিজ্ঞানীরা এদের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। জীবের সংস্পর্শে এলে এরা জীব আর জড় পদার্থের কাছে এরা জড় পদার্থ হিসেবে গণ্য হয়। এদিক বিবেচনা করলে এরা আবার উভয় পদার্থ বটে।
করোনা ভাইরাস আসলে একটি ভাইরাসের গোত্র বা পরিবারের নাম। এই পরিবারের মধ্যে ছয়টি ভাইরাস আগে থেকেই রয়েছে এবং নতুন করোনা ভাইরাস অর্থাৎ কোভিড-১৯ সহ করোনা ভাইরাস পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা এখন সাত। যাদের মধ্যে চারটি ভাইরাসের লক্ষণ সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই। তবে মার্স এবং সার্চ সবচেয়ে প্রাণঘাতী ছিল।
নতুন করোনা ভাইরাস দিয়ে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করা হয়েছে কোভিড-১৯। সর্বপ্রথম ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহানে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত মার্স এবং সার্চের মতো প্রাণঘাতী নয়। করোনা ভাইরাস মানুষের শুধু ফুসফুসে আঘাত হানতে পারে। ফুসফুস বিকলাঙ্গ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে প্রবেশ করে নাক, কান, চোখ ও মুখ দিয়ে। প্রবেশের সময় খাদ্যনালীতে না গিয়ে শ্বাসনালী হয়ে ফুসফুসে অতি সহজে যায়। সে বুঝতে পারে খাদ্যনালী ভিজে বিধায় শ্বাসনালী বেছে নেয়।
অন্যান্য ভাইরাস জ্বরের মতোই কোভিড-১৯ এর শুরুর দিকে লক্ষণগুলো হলো জ্বর, ক্লান্তিভাব, শুষ্ক কাশি। এছাড়া শরীর ব্যথা, নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা-ব্যথা, পাতলা পায়খানাও থাকতে পারে। সময়ের সঙ্গে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে তীব্রতা বাড়ে এবং মৃদ্যু থেকে তীব্র শ্বাস কষ্ট দেখা যায়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরও কোন রকম লক্ষণ প্রকাশ পায় না বা মৃদু লক্ষণ থাকতে পারে।
করোনা ভাইরাস আর সাধারণ ফ্লু বা সাধারণ সর্দি-কাশির উপসর্গগুলোর মধ্যে বেশ কিছু মিল রয়েছে। কোভিড-১৯ এর প্রধান উপসর্গ জ্বর, কাশি। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু হলে গলা ব্যথার মতো উপসর্গও থাকে। আবার নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট থাকতে পারে, যা ফ্লুতে দেখা যায় না। ফলে পরীক্ষা না করে কোভিড-১৯ আছে কিনা তা বোঝা মুশকিল।
করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত কণার মধ্যে এই ভাইরাসটি থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিলে তিন ফুটের মধ্যে কেউ থাকলে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। বাতাসে এই ভাইরাসটি ছড়ায় না, বরং শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত কণার মাধ্যমে ছড়ায়। কণাটি ভারী হওয়ায় এটি বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে না, তাই এটি মাটি, মেঝে বা অন্য কোনো বস্তুর ওপর পড়ে। সেখান থেকে স্পর্শের মাধ্যমে অন্য কারো করোনা সংক্রমণ হতে পারে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ যে কারো হতে পারে। তবে ইমিউনিটি সিস্টেম যাদের দুর্বল বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম যেমন ডায়াবেটিস, কিডনী বিকল, হৃদরোগী, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন যারা, বিশেষ করে বৃদ্ধরা সাধারণত মারাত্মক করোনা ঝুঁকিতে থাকেন। ধূমপায়ী পুরুষদের মধ্যে এই ভাইরাসের মারাত্মক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। ধূমপানের ফলে শ্বাসনালী ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কিছুটা কম থাকে বিধায় এরা শ্বাসনালী ও ফুসফুসকে আক্রমণ করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া স্বাস্থ্য সেবাদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশী।
যেকোন বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। শিশুদের শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সাধারণত কমই হয়ে থাকে। আক্রান্ত বাবা-মা বা পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে এবং বারবার তাদের সংস্পর্শে এলে শিশুদের ঝুঁকি বাড়ে। তবে শিশুদের মধ্যে যাদের অ্যাজমা রয়েছে বা অন্য কোনো জন্মগত বা দীর্ঘমেয়াদী রোগ আছে, তাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
আশার কথা, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ৮০ শতাংশ রোগীই ভালো হয়ে যায়, এমনকি কোন চিকিৎসা না নিলেও অথবা ঘরে বসে সর্দি-জ্বরের মতো চিকিৎসা নিলেও। এ ভাইরাসে আক্রান্ত ২০ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে এবং ২ থেকে ৩ শতাংশকে আইসিইউতে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। যাদের রোগের প্রকোপ কম, তাদের সুস্থ হতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
তাপমাত্রার সঙ্গে করোনার সম্পর্ক নেই। প্রথম দিকে ধারণা করা হতো শীতপ্রধান দেশে এর বিস্তার বেশী। তবে দেখা যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সব দেশেই এই ভাইরাসের বিস্তার বাড়ছে। মূলত ৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই ভাইরাস টিকতে পারে না, বাস্তবে এতো তাপমাত্রা কোন দেশেই নেই।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির সময় মুখে হাত দিলে বা কফ-থুথু হাতে লেগে গেলে, ওই হাত দিয়ে যা কিছু ধরা হবে যেমন- টেবিল, চেয়ার, দরজার হাতল, কী-বোর্ড ইত্যাদিতে ভাইরাস থেকে যেতে পারে এবং এগুলো যে কেউ স্পর্শ করলে সেখান থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। যেকোনো বস্তুর উপরে এ ভাইরাস বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। আর সে কারণে ঝুঁকি এড়াতে ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়ার বিকল্প নেই।
আক্রান্ত ব্যক্তি মাস্ক ছাড়া হাঁচি-কাশি দিলে ভাইরাস বেরিয়ে মেঝে, চেয়ার বা টেবিলসহ নির্জীব জিনিসে ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো ৪৮ ঘণ্টার মতো বেঁচে থাকতে পারে। তখন অন্য কেউ সেই জিনিসগুলোকে স্পর্শ করে সেই হাত দিয়ে তার চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করলে জীবাণুগুলো দেহে প্রবেশ করে এবং ওই ব্যক্তিটিকে সংক্রমিত করতে পারে। এজন্য হাত না ধুয়ে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
বুকের দুধের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর কোন তথ্য বা প্রমাণ এখনো নেই। তবে আক্রান্ত মা অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মাস্ক পরবেন, সাবান দিয়ে হাত ও স্তন ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, বাচ্চা কোলে থাকা অবস্থায় হাঁচি-কাশি দেয়া যাবে না।
করোনায় নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা হলেও নতুন এই করোনা ভাইরাসের বিপরীতে নিউমোনিয়ার ভ্যাক্সিন যেমন নিউমোকক্কাল ভ্যাক্সিন বা হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ ‘বি’ এর ভ্যাক্সিন কাউকে সুরক্ষা দেবে না। তবে কেউ আগে থেকে এই ভ্যাক্সিন নিয়ে থাকলে তা তার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে।
যেসব দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে, সেই সব দেশ থেকে আগতদের সবারই ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা উচিত। কোয়ারেন্টাইন মানে হলো, এই ১৪ দিন তিনি নিজে ঘরের বাইরে যাবেন না, আবার বাড়ীতে অন্য কারো সঙ্গে মিশবেন না। ঘরে অবস্থানকালে পরিবারের অন্যদের সংস্পর্শও এড়িয়ে চলতে হবে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীর খাবার ঘরের দরজার বাইরে রেখে আসতে হবে, কেউ ভেতরে ঢুকবে না। ঘরের বাইরের অন্য কোন প্রয়োজন দেখা দিলে নিজে না গিয়ে কারো সহায়তা নেওয়াই ভালো। ঘরে পোষা প্রাণী থাকলে তাদের সংস্পর্শে না যাওয়াই ভালো। এককথায় নিজেকে অন্যদের থেকে পৃথক করে রাখা। এতে পরিবারের বা সমাজের অন্যরা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে না। কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় যদি কারো জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ইত্যাদি করোনার মতো লক্ষণ উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে আইইডিসিআর-এর হটলাইনে যোগাযোগ করার নির্দেশনা রয়েছে।
আক্রান্ত ব্যক্তি বা বিদেশ থেকে আগত বা তার সংস্পর্শে থাকা কারো যদি জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। তাই যাদের রোগের লক্ষণ নেই তাদের পরীক্ষা করার কোন প্রয়োজন নেই। এতে রোগ শনাক্ত হবে না।
করোনা মানেই মৃত্যু নয়। বরং সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে, আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে শিশুসহ সবাই ক্রমশ সুস্থ হয়ে ওঠে। এ জন্য দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা উচিত। ভালো হবে প্রতিদিন সুষম খাবার, টাটকা শাক-সবজি ও ফলমুল খেতে পারলে। এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। ধূমপান ও মদ্যপান একদম নয়।
আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যকে রক্ষার জন্য বাধ্যতামূলক মাস্ক পরবেন, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ বা নাক থেকে ভাইরাস বা জীবাণু অন্য মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে। পাশাপাশি আক্রান্ত বা কোয়ারেন্টাইনে রাখা রোগীদের সেবাদানকারী ডাক্তার, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। তাছাড়া বিদেশ ফেরত যাদেরকে বাড়ীতে নিজেদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা এবং তাদের সেবাদানকারী পরিবারের লোকজন এবং আশেপাশের লোকজন শুধুমাত্র একই ঘরে থাকার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। তবে শুধু মাস্ক পরলেই হবে না, সেই সঙ্গে কিছু নিয়মও মানতে হবে। যেমন কিছুক্ষণ পর পর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া অব্যাহত রাখতে হবে, নিয়মিত মাস্ক পরিবর্তন করতে হবে, ব্যবহারের পর মাস্ক যেখানে সেখানে না ফেলে ঢাকনাযুক্ত পাত্রে ফেলতে হবে এবং পরবর্তীতে তা পুড়িয়ে ফেলা ভালো।
আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিলে টিস্যু ব্যবহার করবেন এবং সেই টিস্যু পুড়িয়ে ফেলতে হবে, যাতে সেখান থেকে ভাইরাস না ছড়ায়। কেউ যদি রুমাল ব্যবহার করেন, তাহলে সেই রুমাল ও হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিবেন। ভালোভাবে হাত না ধুলে সেখান থেকে ভাইরাস ছড়াবে। তাই সবসময় সাবান দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে দুই হাত ধুয়ে নেবেন অথবা চাইলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যায়। হাতের কাছে কিছু না থাকলে কনুইয়ের ভাজে নাক-মুখ ঢাকতে হবে। অপরিষ্কার হাতে নাক, মুখ ও চোখ স্পর্শ করবেন না। বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে তারপর অন্য কিছু ধরবেন। কারণ এই হাত দিয়ে যা কিছু ধরা হবে সেখানেই ভাইরাস থেকে যেতে পারে। টেবিল, চেয়ার, দরজার হাতল, কী-বোর্ডে ভাইরাস থেকে যেতে পারে। সেখান থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই এগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খাওয়া দরকার। ডিম পোচ করে না খেয়ে ভালোভাবে ভাজি করে খাওয়া উচিত। ফলমূল ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে, কোন সবজি দিয়ে সালাদ করার আগে সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। অনেকের গৃহপালিত পশু-পাখি থাকে। কোনো পশু-পাখি অসুস্থ হয়ে পড়লে বা রোগাক্রান্ত মনে হলে সেটিকে সরিয়ে নিতে হবে। সেই প্রাণীকে কেউ স্পর্শ করলে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। কুশল বিনিময়ের ক্ষেত্রে করমর্দন, কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। যথাসম্ভব ঘরে বা বাড়ীতে থাকুন, খুব বেশী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়াই ভালো।
করোনা ভাইরাস নিয়ে ভয় পাবেন না, আতঙ্কিত হবেন না। ভয়ের পরিবর্তে মানুষ যদি অধিকতর সচেতন থাকে, তাহলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা কঠিন কিছু নয়। এই ভাইরাস একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে সংক্রমণের সুযোগ যদি না পায়, তাহলে তা ছড়াবে না। আবার দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করা গেলে ব্যবস্থাপনা কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। নতুন এই করোনা ভাইরাসের জন্য এখনও কোন টিকা বা চিকিৎসা উদ্ভাবন না হলেও আনুষঙ্গিক অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব। আর করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে সচেতনতাই সর্বাপেক্ষা উত্তম প্রতিরোধ ব্যবস্থা। -পিআইডি ফিচার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!